ঢাকা-৭ আসন
হাজী সেলিমপুত্রের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে মানিক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাজী সেলিমপুত্র মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমের প্রার্থিতা বাতিল করার আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাসিবুর রহমান মানিক। একইসঙ্গে নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন প্রদানের নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও জানান তিনি।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এই আবেদন জমা দেন তিনি।
মানিক দাবি করেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি পাওয়ার পরও মিথ্যা অপবাদ ও মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে রিট করার মাধ্যমে তার প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়েছে। অথচ রিটে যার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে তিনি বলেছেন, কিছুই জানেন না। তাই একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করার মাধ্যমে নৌকার প্রা
পর রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। কমিশনেও রিটার্নিং অফিসারের আদেশ বহাল রাখায় হাইকোর্টের রিট পিটিশন দায়ের করি। মহামান্য হাইকোর্ট আমাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্দেশনা দেয়। যার প্রেক্ষিতে ইসি একইদিন আমাকে ‘ঈগল’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে সংশোধিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেন।
তিনি দাবি করেন, অতিশয় জালিয়াতি ও দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনের ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম জালিয়াতির আশ্রয় নেন। তিনি স্থানীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা হাজী মো. ইদ্রিস বেপারীর নাম ব্যবহার করে ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। ফলে পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে আমার প্রার্থিতায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মানিক উল্লেখ করেন, এসব ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম সরাসরি জাল জালিয়াতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে আমি সন্দেহ পোষণ করছি। তাই সোলায়মান সেলিমের প্রার্থিতা বাতিল করে আবার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচনের আদেশ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আরএইচটি/পিএইচ
বিজ্ঞাপন