দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনের অধিকাংশ কেন্দ্রে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর বুথ নেই। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকা-১০ আসনের আওতাধীন ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট এলাকার অধিকাংশ কেন্দ্র ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ৫ জন। এর মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী কে এম শামসুল আলম আম মার্কা, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ নৌকা মার্কা, বাংলাদশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত প্রার্থী মো. বাহারানে সুলতান বাহার টেলিভিশন মার্কা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত প্রার্থী শাহরিয়ার ইফতেখার ছড়ি মার্কা এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. শাহজাহান লাঙ্গল মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

সকাল থেকে সরেজমিনে গজমহল ট্যানারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ধানমন্ডি গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেহেরুন্নিসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের একচ্ছত্র দাপট। এসব কেন্দ্রে নৌকা ছাড়া বাকি প্রতীকের প্রার্থীদের কোনো নির্বাচনী বুথ দেখা যায়নি। তবে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল কেন্দ্রের সামনে লাঙ্গল প্রতীকের একটি বুথ দেখা গেছে।

জানতে চাইলে এই আসনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত প্রার্থী শাহরিয়ার ইফতেখার (ছড়ি মার্কা) বলেন, আমরা সাধ্য অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে পোলিং এজেন্ট এবং ভেতরে বাইরে লোক দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে সকাল থেকে ভোটারই নেই। তারপরও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব। কোনো প্রকার শঙ্কা নেই। সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে।

এসব এলাকায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ ও র‍্যাবের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে টহল দিতে দেখা যায় বিজিবি সদস্যদের।

এবারের সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশের ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৭ জন, আনসার ব্যাটালিয়ন ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮৮ জন, সশস্ত্র বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অনেক স্থানে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভয় দেখানো, ক্যাম্প ভাঙচুরসহ নানা অভিযোগও রয়েছে।

আরএইচটি/এসকেডি