২০২৩ সালে ২৯৩ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার এবং বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, র‍্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। শুরু থেকে ঢাকা ও সীমান্তবর্তী জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৯ হাজার ৭৫৫টি বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র এবং ২ লাখ ৫৯ হাজার ৭০৩ রাউন্ড গোলাবারুদসহ ১৪ হাজার ৪১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। উদ্ধার করা হয় রকেট লঞ্চার, গ্রেনেড, বিভিন্ন প্রকার শেল, ককটেল ও গোলাসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ২৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। উদ্ধার করা হয় ৬১৮ বিভিন্ন প্রকার দেশি/বিদেশি অস্ত্র, ১০৩টি ম্যাগাজিন, এক হাজার ৩৬২ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২ হাজার ১৩৪টি বিভিন্ন ধরনের ককটেল, বোমা, গ্রেনেড এবং ৫৯.৫৩ কেজি বিস্ফোরক।

অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র‌্যাব ফোর্সেসের গোয়েন্দা নজরদারি ও জোরালো অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

২০২৩ সালে র‍্যাবের উল্লেখযোগ্য অভিযানসমূহ

গত বছরের ২০ মার্চ র‍্যাব-৫ এর একটি অভিযানে রাজশাহীর বেলপুকুর রেলক্রসিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪টি ওয়ান শুটারগানসহ ২ জন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২১ জুলাই র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১৫ এর অভিযানে কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া-শ্যামলাপুরের গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলভার, ১টি শর্টগান, ৪টি দেশীয় এলজি, ৩টি দেশীয় রামদা ও গোলাবারুদসহ সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের সামরিক কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১২ আগস্ট খুলনার দাকোপ ও মোংলার ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আসাবুর বাহিনীর ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

১৫ আগস্ট কক্সবাজারের উখিয়া থানাধীন তেলখোলা বটতলী গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাসেল বাহিনীর প্রধান শেখ রাসেল ওরফে ডাকাত রাসেলসহ ৭ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৬টি দেশীয় একনলা বড় বন্দুক, ২টি এলজি, ১২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, ৭ রাউন্ড রাইফেলের তাজা কার্তুজ ও ১ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ১টি রামদা, ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

৭ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি, ১টি বিদেশি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি, খালি খোসাসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমি দস্যু গ্রুপের মূলহোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেইউ/এমজে