ভবিষ্যতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার শর্ত দিয়ে মুচলেকা দিয়েছে বিকাশ ও ভিআইপি পরিবহনের মালিকপক্ষ। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও অঙ্গীকার করেন তারা। 

সোমবার (২২ জানুয়ারি) নিউমার্কেট থানায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন অঙ্গীকার করেন তারা।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিরপুর সড়কে চলাচল করা ভিআইপি ও বিকাশ পরিবহনের মালিক ও চালকদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেজন্য সকালে শিক্ষার্থীরা পাঁচটি গাড়ি আটক করেন। পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার শর্তে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে তিনটি গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয় এবং দুটি গাড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়। বিকেলে থানায় মালিকপক্ষসহ বসেছিলাম। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভবিষ্যতে আর এমন হয়রানি করা হবে না এই শর্তে মুচলেকা দিয়েছেন পরিবহনের মালিকপক্ষ।

এছাড়া এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়টিও মালিকপক্ষের লোকজন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন বলেও তার জানান তিনি।

ভিআইপি পরিবহনের রুট ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান ও বিকাশ পরিবহনের রুট ইনচার্জ মো. সামছুল আলম এই মুচলেকায় সই করেছেন।

সেখানে বলা হয়েছে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভিআইপি পরিবহন ও বিকাশ পরিবহনের বাসের স্টাফদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের হাফ ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ভিআইপি পরিবহন ও বিকাশ পরিবহন এর বাস আটক করেন। পরবর্তীতে আমরা ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পারি যে, এই বাসগুলোতে চলাচলের সময় তারা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে

১. গণপরিবহনে শিক্ষার্থী নিতে না চাওয়া।

২. হাফ ভাড়া নিতে না চাওয়া। 

৩. পরিবহন কর্মচারীদের শিক্ষার্থীদের প্রতি নেতিবাচক আচরণ।

৪. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাতায়াত করা বাসে হাফ ভাড়া নিতে না চাওয়া।

৫. গাড়িতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না থাকা।

আমরা এই অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে ভিআইপি পরিবহন ও বিকাশ পরিবহনের পক্ষে অঙ্গীকার করছি যে, ভবিষ্যতে উল্লিখিত কোনো ঘটনা যেন আবার না ঘটে সে বিষয়ে সচেতন থাকব। আর যদি পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে সংশ্লিষ্ট থানা, বাস মালিক সমিতি ও ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার জন্য সচেষ্ট থাকব।

আরএইচটি/জেডএস