সংস্কার করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা লালকুঠি। চলতি বছরের মধ্যে তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস নূর তাপস।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নেতার মাজার সংলগ্ন এলাকায় সংস্কার পরবর্তী ঐতিহাসিক 'ঢাকা ফটক (গেট)' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, লালকুঠি সংস্কার করা হচ্ছে এবং এ বছরের মধ্যে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এছাড়াও রূপলাল হাউস, বড় কাটরা ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও ঢাকা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হস্তান্তরে সকলের ভূমিকা কামনা করছি।

শেখ তাপস বলেন, ৪০০ বছরের পুরনো ঢাকা ফটক অন্য কোনো দেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটাই হলো আমাদের ঐতিহ্যের জায়গা, আমাদের গর্বের জায়গা। সুতরাং ঢাকাকে যদি তার পূর্ণ বৈশিষ্ট্যে, পূর্ণ চরিত্রে ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে। আজকে আমরা একটি ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করেছি, সে রকম একটি আবেগ-উপলব্ধি আমার মধ্যে কাজ করছে। ছোটবেলায় যখন আমরা গুলিস্তান দিয়ে যেতাম তখন এই কামানের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। অনেককে দেখতাম সেই কামানের উপর খেলাধুলা করছে। এটা হারিয়ে গিয়েছিল। এই কামান দিয়ে মীর জুমলা আসাম আক্রমণ করে বিজয় করেছিলেন। সেই কামানটি এখন ঢাকা ফটক প্রাঙ্গণে আমরা নিয়ে এসেছি।

এ সময় তিনি ঢাকা ফটকসহ এ সকল ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে কোন ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন না লাগানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করেন এবং লাগানো হলে জরিমানা করা হবে বলেও জানান।

এদিকে ৮২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক সংস্কার করা হয়েছে। মেসার্স আহনাফ ট্রেডিংস এই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। এর মাধ্যমে ঢাকা ফটক তথা মীর জুমলার ফটককে পুরনো অবয়বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি