বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রচলিত জ্বালানির সঙ্গে হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়াকেও জ্বালানি হিসেবে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিগগিরই গ্রিডে আসবে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রায় ১২ হাজার ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির টেকনো-ইকোনমিক স্টাডি : চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে অকৃষি জমির প্রাপ্যতা অন্যতম প্রধান সমস্যা। অনশোর ও অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ নিয়েও আমরা এগোচ্ছি। আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও গ্রিড সিংক্রোনাইজেশনকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও অর্থায়ন সংক্রান্ত কৌশলগত গবেষণা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ এনইএফ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন উৎস ও তার মূল্য নিয়ে গবেষণা আজকের এই কর্মশালায় উপস্থাপন করেন। ব্লুমবার্গ-এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান ড. আলী ইজাদী, দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট লিডার ইস্যু কিকুমা ও সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট তারুণ্য বালাকৃশনান ব্লুমবার্গ-এর পক্ষে এই গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ইউটিলিটি স্কেলে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সহায়তা করা, রূপটপ ও ভাসমান সোলার ব্যবহার বাড়ানো এবং ক্লিন প্রযুক্তির চাকরির জন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেন।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.হাবিবুর রহমান, স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, বিআরইবি'র চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম উপস্থিত ছিলেন।
ওএফএ/জেডএস