মেয়রের ভুল ধরে সমালোচনা করলেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের ভুল ধরে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গুলশান-২ নম্বরে ডিএনসিসির নগর ভবনে ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরব্যাপী উত্তর সিটির প্রস্তুতি এবং করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি মেয়রের সমালোচনা করেন।
বিজ্ঞাপন
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরজুড়ে কাজ করছেন বা করার উদ্যোগ নিয়েছেন, এটার জন্য সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আপনার (আতিকুল ইসলাম) সমালোচনা করছি, কিছু মনে করবেন না। আপনি বারবার বলছেন সমন্বয় করার কথা। কিন্তু আপনাদেরই সমন্বয়ের অভাব থেকে গেছে। মশা বা ডেঙ্গু সমস্যা শুধুমাত্র ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নয়। আপনারা নিজেরাই সমন্বয়ে করতে পারেননি, এখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউকে আনা উচিত ছিল। কারণ আপনারা সব মশা মেরে শেষ করবেন অথবা তাড়িয়ে দেবেন, সেই মশাগুলো তো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলে যাবে। মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হলে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত ছিল।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আপনারা যদি নিজেরাই সমন্বয় করতে না পারেন, তাহলে এর কোনো ভালো ফল হবে না। আপনাদের নিজেদেরই একসঙ্গে সমন্বয় করে মশা নিধনে কাজ করে যেতে হবে। আজকের এই এত বড় বৈঠকের আয়োজন করেছেন, অথচ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোনো প্রতিনিধি এখানে নেই। এছাড়া, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, রাজউক ও গণপূর্ত সবার আলাদা আলাদা ক্ষেত্র রয়েছে। তাই সবাইকে নিয়েই সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মেয়র আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, আপনি অবশ্যই কাজ করে যাচ্ছেন বা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সমন্বয় না হলে মানুষ ভুল বুঝবে, মনে করবে আপনারা কোনো কাজই করছেন না। কিন্তু আপনারা তো কাজ করছেন, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু এখন সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে, সমন্বয় করে কাজ করা ছাড়া আপনি তো একা পারবেন না।
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছে এক হাজার ৭০০ জনের মতো মানুষ। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়ত মারা গেছে ৮-৯ হাজার মানুষ। সেটি নিয়ে কিন্তু অত বেশি আলোচনা নেই, ডেঙ্গু নিয়ে এত বেশি আলোচনার কারণ হলো— মানুষ ভাবছে একটা ছোট্ট মশার কাছে আমরা এতটা হার মানব? এটা মানুষ মানতে চায় না।
বৈঠকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে প্রস্তুতি এবং পরামর্শ নিতে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে, নিপসম প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাসার, সিডিসির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ, নিপসম কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআর বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মোইনুল আহসান ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ অনেকে।
এএসএস/কেএ