গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতের বিচার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরীর পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতি বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার একটি মাদ্রাসায় গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসা শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। তার বাবা জানায়, বাড়িতে ফেরার পর তার মেয়েকে শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ মনে হওয়ায় তিনি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার ডাক্তার এবং নার্স জানান তার মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের বেশিরভাগ শ্রমজীবী পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়াতে পাঠান একরকম বাধ্য হয়েই। কারণ বাবা-মা দুজনই কাজে বের হলে সন্তানকে দেখার কেউ থাকে না। তাই সারাদিন মাদ্রাসায় থাকলে একদিকে পড়াশোনাও কিছুটা হয়, আবার ধর্মীয় চিন্তা থেকে নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু মাদ্রাসাগুলোতে অনেক সময়ই ছোট ছোট ছেলে এবং মেয়েরা শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। কিছুদিন পর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ধর্ষণের খবর পত্রিকায় আসে। দেশের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতাকে পুঁজি করে দিনের পর দিন কিছু লোক তাদের এই বিকৃত রুচির চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রায় কোনো ঘটনারই বিচার বা শান্তি পরিলক্ষিত হয় না।

দেশের সকল মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সব পেশাজীবী, শ্রমজীবী পরিবারের সন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার নির্মাণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র যখন তার দায়িত্ব অস্বীকার করে বা পালন করে না, তখন সমাজের সর্বস্তরে তার প্রভাব পড়ে। অনতিবিলম্বে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি দেশের সব শিশুর শিক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

/এমএইচএন/এমএ