খেলাধুলা-সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টিতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা দাবি
খেলাধুলা-সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টিতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা দাবি করেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
তারা বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠ অত্যন্ত অপ্রতুল। নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে ৭৯৫টি খেলার মাঠের ঘাটতি রয়েছে। যে মাঠ-পার্ক আছে তার অধিকাংশই রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বললেই চলে। অন্যদিকে উন্নয়নকৃত মাঠ-পার্কগুলোতে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত না হওয়ায় শিশু-কিশোররা খেলাধুলার সুযোগ ও স্বাভাবিক বিকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জায়গা-সময়-অর্থ বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক অব্যবহৃত বা স্বল্প ব্যবহৃত স্থানে বা কম ব্যস্ত সড়কে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সহজেই খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) “শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড” শীর্ষক দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় ৫টি বৃহৎ আঞ্চলিক পার্ক, ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্ক, ১৪ টি বৃহৎ ইকোপার্ক এবং ১৪ টি অন্যান্য পার্ক ও খেলার মাঠের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প প্রস্তাবিত আছে। এ কথা অনস্বীকার্য যে, এগুলো অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ কার্যক্রম। এ সময়ের মধ্যে যদি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয়, তাহলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর খেলাধুলার সুযোগ ছাড়াই বেড়ে উঠবে, যা তাদের সুষ্ঠু বিকাশে অন্তরায়।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও বলেন, সকল উদ্যোগ সরকারের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। শিশু-কিশোরদের সুষ্ঠু বিকাশ নিশ্চিতে খেলাধুলার সুযোগ তৈরিতে এলাকাবাসীকে সচেষ্ট হতে হবে। আমাদের প্রতিটি এলাকাতেই কিছু না কিছু স্থান রয়েছে যেগুলো স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। এ স্থানগুলোকে খুব সহজেই সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের খেলার উপযোগী করে তোলা সম্ভব।
এএসএস/এমজে