উপজেলা নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালা সংশোধন
একগুচ্ছ প্রস্তাবে অনুমোদন ইসির
স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেইগুলো ভোটিং শেষে বিধিমালা সংশোধন হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বে গঠিত আইন সংশোধন কমিটি প্রস্তাবগুলো কমিশন সভায় উপস্থাপন করেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ২৮তম কমিশন সভায় সংস্থাটি এ অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আগের জামানত বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাবে অনুমোদন করেছে কমিশন। বর্তমান নির্বাচন বিধিমালায় চেয়ারম্যান ১০ হাজার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের জামানত পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়া রঙিন পোস্টার ব্যবহার, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর তুলে দেওয়ার প্রস্তাবসহ একগুচ্ছ সংশোধনে অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর যেসব বিধি সংশোধনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসি
বিজ্ঞাপন
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনেরযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে জামানত ১ লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকা এবং নারী সদস্যের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্তের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং মহিলা সদস্যদের এক লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটগ্রহণে কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হওয়ায় প্রতীক অন্তর্ভুক্তি/সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ (আচরণবিধিমালা), ২০১৬-এর যেসব বিধি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে
পোস্টার, ব্যানার সাদা-কালো অথবা রঙিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাঁচ জনের অধিক কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না। প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একটির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করা যাবে না।
নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের অধিক হতে পারবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় একটির অধিক শব্দযন্ত্র (হর্ন) বা জনসভায় চারটির অধিক শব্দযন্ত্র (হর্ন) ব্যবহার করা যাবে না। শব্দদূষণ প্রতিরোধে শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবলের অতিরিক্ত হতে পারবে না। প্রচারণায় পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার না করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এসআর/এমজে