ফায়ার সার্ভিসের ১৩ টি ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুন। আগুন পুরোপুরি নির্বাপন না হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনের ভেতরে মরদেহ বহন করার ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করেছেন ফায়ার ফাইটাররা। ওই সময় বাইরে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স।

ঘটনাস্থলে অগ্নি নির্বাপনে সংশ্লিষ্ট ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা এই ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

রাত সাড়ে ১১টার পর ভবনের ভেতরে ফায়ার ফাইটারদের মরদেহ বহনের ব্যাগ হাতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ভবনের বাইরে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সও।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা, উদ্ধার অভিযান ও উৎসুক জনতাকে সরাতে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে যোগ দেন র্যাব, পুলিশ, আনসার ও বিজিবির সদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভেতরে আরো অনেকে আটকা রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত রয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ‘১১ টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে আমরা ভেতরে তল্লাশি করছি।’

তিনি আরও বলেন,‘ জীবিত উদ্ধার করা যতটুকু সম্ভব আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি। বাকি পরিস্থিতি এখনো বলার সময় হয় নাই।’

তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে তবুও ভেতরে ধোঁয়া আছে। আমরা আমরা যতজন পারছি জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছি।’

উৎসুক জনতা, নিখোঁজদের স্বজনদের খোঁজে ঘটনাস্থলে ছুটে আসা আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন, তাদের পরিচিত অনেকে নিখোঁজ; ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয় কাজ করছে। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছোটাছুটি খোঁজ-খবর নিতেও দেখা যায় স্বজনদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিসের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভেতরে প্রচন্ড ধোঁয়া রয়েছে। কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা মৃত নাকি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন সেটি নিশ্চিত নয়। তবে মৃতদেহ পাওয়া গেলে তা উদ্ধারের জন্য যে যথাযথ প্রক্রিয়া সেটি অনুসরণ করতেই অগ্নিকাণ্ডের ভবনের ভেতরে পাঠানো হয়েছে মরদেহ বহনের ব্যাগ।

জেইউ/এমটিআই