সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : বিএসএফ
সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) নিতিন আগারওয়াল।
শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষ দিন বিজিবি-বিএসএফ ডিজির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ বর্ডারে বিএসএফ প্রাণঘাতি নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচার, চোরাকারবারির মতো নানা অপরাধী বিভিন্ন সময় বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার্থে কখনো কখনো বিএসএফ সদস্যরা ফায়ার করতে বাধ্য হন। গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য দায়ের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। বিএসএফের প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারতীয় অপরাধীরাও মারা যায়।
নিতিন আগারওয়াল বলেন, সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে রাবার বুলেট ছুড়লে সেটি দিয়েও মৃত্যু হতে পারে। যখন বিবিএসএফ সদস্যদের ওপর দা দিয়ে হামলা করা হয়। তখন তারা অনেক কাছে চলে আসে। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করতে বাধ্য হন। এর বাইরেও বিপুল চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে। এজন্য জয়েন্ট বর্ডার পেট্রোলিং, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংসহ নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এমএসি/এসএসএইচ