বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নতুন অংশীদারি প্রকল্প বিজয়ীর যাত্রা শুরু
বাংলাদেশের যুব উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি পাঁচ বছর মেয়াদী বিজয়ী প্রকল্প চালু করেছে।
শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ী প্রকল্পের উদ্বোধনের তথ্য জানায় কেয়ার বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
বিজয়ী প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং।
কেয়ার বাংলাদেশ জানায়, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ৩৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এ প্রকল্প দেশের যুবদের দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে তাদের পেশাজীবন এগিয়ে নিতে ও দেশের কর্মশক্তির আধুনিকায়নে ভূমিকা রাখবে। কেয়ার বাংলাদেশ, যুব-নেতৃত্বাধীন ও যুব-সেবায় নিয়োজিত ৯টি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
বিজ্ঞাপন
দেশের বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই প্রকল্প থেকে ১৮-৩৫ বছর বয়সী আড়াই লাখ যুবদের চাকরির বাজারে চাহিদা আছে এমন কর্মদক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ফলে তাদের চাকরি পাওয়া কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হবে।
যুব অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বিজয়ী প্রকল্পে স্থানীয় যুব সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার, জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, ইউসেপ বাংলাদেশ, ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, দ্যা আর্থ, অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি এবং তাজিংডং; একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে চাকরিতে চাহিদা-সম্পন্ন বিষয়ে নিজেদের প্রশিক্ষণ দক্ষতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাইফুজ্জামান বলেন, ইউএসএআইডি বিজয়ী প্রকল্প দেশের যুবদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য কাজ করবে। তাই এ প্রকল্পকে সফল করতে আমাদের সবারই দায়িত্ব রয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সবসময়ই বিজয়ীর পাশে থাকবে।
ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান বলেন, আমরা জানি অনেক মেধাবী যুবক মানসম্মত শিক্ষা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ কিংবা কাজের সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হয়। বিজয়ী প্রকল্পের অধীনে ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ সরকার, যুব সংগঠন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে মূলত এদেশের যুবদেরই সহায়তা করবে, যেন তারা নিজেদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে।
কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং বলেন, কেয়ার বাংলাদেশ ‘পজিটিভ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট’ নীতি মেনে চলে, কারণ আমরা স্বীকার করি দেশের উন্নয়নে যুবদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কেয়ার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ এর বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে।
এনআই/এসএম