সাম্প্রতিক সময়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেহরিতে গরুর মাংস নিয়ে বিদ্বেষ চর্চার সাম্প্রদায়িক ঘটনাসমূহ একই সুতোয় গাঁথা এবং ভিনদেশি প্রজেক্টের অংশ। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে।

সোমবার (১১ মার্চ) পল্টনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত এক মিছিলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রমজানের ইফতার মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যেখানে ইউনেস্কো পর্যন্ত ইফতার আয়োজনকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে সেখানে মুসলিমদের ইবাদতে বাধা প্রদানের এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক আচরণ। অতি দ্রুত অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনাসমূহে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, কুরআন নাযিলের এ মাসে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক সংস্কার করে কুরআনের শিক্ষা সর্বস্তরে নিশ্চিত করতে হবে। রমজানে রোজাদারদের কষ্ট লাঘবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য কমিয়ে কালোবাজারি, মজুতদারি ও সিন্ডিকেটকে ভেঙে দিতে হবে। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বন্ধ করতে হবে। ইফতার, সেহরি ও তারাবির নামাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি মুনতাছির আহমাদের সঞ্চালনায় মিছিল উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন নূর, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ আল আমিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহিম খলীল, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ইউসুফ মালিক প্রমুখ।

ওএফএ/এমএ