গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ফরিদপুরের সালথায় ২টি পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন লুট করেন ডাকাত সর্দার রায়েব ও তার দল। এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

এ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে রায়েবের নাম। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা কঠিন ছিল পুলিশের পক্ষে। কারণ এক স্থানে বেশি দিন স্থায়ী হতেন না রায়েব। এক পর্যায়ে র‌্যাবের সহযোগিতায় এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (২৪ মার্চ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব- ১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এবং সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল।

তিনি জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের সালথা থানার মোহাম্মদ সাইফুজ্জামানের এবং আতিকুর রহমান তালুকদারের বাড়িতে ডাকাতরা ডাকাতি করে। এ সময় তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি জানতে পেরে জড়িতরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়কের কাছে অধিযাচনপত্র পাঠান। এর ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

তিনি আরও জানান, সবশেষ গতকাল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র‌্যাব-০৮ এর সহযোগিতায় মাদারীপুর জেলার সদর এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডাকাতি মামলার ঘটনায় জড়িত আসামি ডাকাত সর্দার মো. রায়েব আলী সরদার (৪২) এবং তার প্রধান সহযোগী আসামি মো. আশরাফুল হোসেন শেখকে (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, রায়েব আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ৯টি মামলা এবং আশরাফুল হোসেনের বিরুদ্ধে চুরি ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে। পরে এই দুজনকেই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরএইচটি/এসকেডি