ভাসমান সভায় বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী রক্ষার ব্যানার ব্যবহার করে অবৈধ দখলদার ও স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা সংকুচিত ও দুর্বল হয়ে গেছে। তারপরও তারা ছোবল মারতে পারে। সামাজিক আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তাদের শুধু পরাজিত নয়, নির্মূল করতে হবে।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘নদী ও মুক্তিযোদ্ধা’ শীর্ষক ভাসমান সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। থ্রী অ্যাঙ্গেল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, নদী রক্ষা জোট এবং রিভার জাস্টিসের সহযোগিতায় নদী নিরাপত্তায় সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’ এ সভার আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণের দ্বারপ্রান্তে। উন্নয়নের অগ্রগতি ও সোনার বাংলা নির্মাণের পরিকল্পনা ধ্বংস করতে শক্ররা ঐক্যদ্ধ হচ্ছে। তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যারা ১৫ আগস্ট তৈরি করেছিল তারাই মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত করতে চায়। তাদের সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধীরা একাত্তরে পরাজিত হয়েছিল, এবারও তারা পরাজিত হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, এটাই মুক্তিযুদ্ধের অংশীদার। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীন দেশ, জাতীয় সংগীত ও পতাকা দিয়ে পরিচয় দান করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ কোনো ঠুনকো বিষয় নয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিল মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক শক্তি। নদী আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি ধরে রাখে নদী। নদীকে প্রবাহমান ও নাব্যতা রাখতে পারলে আমাদের মুক্তি আসবেই।

নদীগুলোকে সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় এনে নাব্যতা ধরে রেখে উন্নয়নের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, নদীপথ রক্ষার বিষয়টি বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে অনুভব করেছিলেন। নৌপথ খননের লক্ষ্যে তিনি সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত আর কোনো সরকার ড্রেজার সংগ্রহ করেনি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে ৩৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটা ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতিহারে ছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নদী বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ইসহাক খান, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস, রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এইউএ/এসআরএস