গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া চৌরাস্তা থেকে সোজা ১০ মিনিট হাঁটলে ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টারসের বিপরীতে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। অর্থাৎ, মার্কেটটির পূর্ব পাশে পুলিশ হেডকোয়ার্টার, দক্ষিণ পাশে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড, পশ্চিমপাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। এই মার্কেটের রাস্তার বিপরীত পাশে আছে আবার বঙ্গহোমিও কমপ্লেক্স।

দেশে প্রস্তুতকৃত পোশাকের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত বঙ্গবাজার। এখানে নারী-পুরুষ-শিশুদের নানান রকমের পোশাক পাওয়া যায়। শীতের জ্যাকেট, গেঞ্জি, লুঙ্গি, জুতা, জাঙ্গিয়া, লন, ভয়েল, ব্রা, গ্যাবাডিন প্যান্ট, সোয়েটার, শাল, হাত মোজা, কানটুপি, হ্যান্ড গ্লাভস, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবীসহ বিভিন্ন পোশাক পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হয় এই মার্কেটে।

তিনতলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সটির প্রথম তলায় জুতা, জার্সি, ব্যাগ ইত্যাদি পাওয়া যায়। দ্বিতীয় তলায় শাড়ী, থ্রি-পিসসহ নারী-পুরুষের সকল ধরনের পোশাক পাওয়া যায়। তৃতীয় তলায় টেইলার্স, গার্মেন্টস আইটেম, জ্যাকেটের শো রুম আছে।

শীতের পোশাকের জন্যে তিন মাস ও বাকি নয় মাস টু-কোয়ার্টার, থ্রি-কোয়ার্টার, প্যান্টও পাওয়া যায় এখানে। ঈদুল আজহার এক মাস পর থেকে দোকানে তোলা হয় শীতের পোশাক। আর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে এই সিজন শেষ হয়ে যায়।

ব্যবসার পরিস্থিতি নিয়ে জিজ্ঞেস করলে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মার্কেটের বিসমিল্লাহ ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী মেহেদী বাবু বলেন, ব্যবসায় করোনা মহামারির প্রভাব পড়েছে। তবে সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠছি আমরা। শীত শেষপর্যায়ে আসলেও ব্যবসা ভালো চলছে। আমাদের কাছে নানান রকমের ক্রেতা আসেন। কেউ পাইকারি দামে আবার কেউ খুচরা হিসেবে পোশাক কিনতে আসেন এখানে।

মালেক এ্যাপারেলস’র কর্মচারী সোহেল বলেন, আমরা দেশের বাইরে রপ্তানি করি বেশি, দেশের ভিতরে কম বিক্রি করা হয়। ব্যবসা আগের চেয়ে ভালো আছে, যদিও করোনার কারণে ব্যবসায় কিছুটা হোঁচট খেতে হয়েছে। আগের তুলনায় এখন দেশ-বিদেশে পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। ব্যবসায় সার্বিকভাবে স্বস্তি ফিরে আসছে।

এই মার্কেট থেকে সাধারণত ভুটান, ভারত, চীন ও দুবাইতে পোশাক রপ্তানি করা হয়। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ। এছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকে।

টিএম