দোকান ভাঙা নিয়ে হঠাৎ উত্তেজনা মুগদায়
সংকীর্ণ রাস্তা প্রসারিত করতে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রোববার থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এই এলাকায়। অভিযানে রাস্তার দুইপাশে থাকা ভবন, বাড়ি, দোকানপাটগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অভিযান পরিচালনাকারী দল মুগদা প্রধান সড়কের কাছাকাছি এলে দুই একটি দোকান মালিক কাজে বাধা দেন। অভিযান পরিচালনা করা দলের সঙ্গে তৈরি হয় বাকবিতণ্ডা। এই অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি সামলে নেয় পুলিশ সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
সোমবার সকাল থেকে মুগদা ব্রিজের দিক থেকে মুগদা প্রধান সড়কের দিকে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রাজউক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুগদা প্রধান সড়কের কাছাকাছি অভিযান পরিচালনাকারী দল এলে দোকান মালিকদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা বাধে। তারা কাজে বাধা দেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। যে কারণে হঠাৎ করেই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ফের নতুন করে ভাঙার কাজ শুরু করেছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে অভিযানে থাকা আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের এক পুলিশ সদস্য বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অভিযানের গাড়ি দিয়ে যখন দোকানগুলোর অংশ ভেঙে দেওয়া হচ্ছিল তখন কয়েকজন দোকান মালিক কাজে বাধা দেয়। পরে তাদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এখন আবার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে অভিযান পরিচালনাকারী টিম। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।
অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ ছাড়া দোকানগুলোর না ভাঙতে গত পরশু সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এলাকাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, মুগদা এলাকার প্রধান সড়কের দুই পাশের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিজস্ব জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষরা এবং আমরা রাজউকের অনুমোদন নিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। মুগদার প্রধান সড়কটি সর্বশেষ ঢাকা সিটি জরিপ অনুযায়ী ৩০ ফুট প্রশস্ত। সম্প্রতি রাজউকের নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারি এ সড়ক ৫০ ফুট বা ৬০ ফুট প্রশস্ত করা হবে। নকশা চেয়ে রাজউক থেকে আমাদের অনেককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকে নোটিশ পায়নি।
তারা বলছেন, রাজউকের লোকজন জানিয়েছে, আমাদের জায়গাসহ বাড়িঘর শিগগিরই ভেঙে ফেলে সড়ক নির্মাণ করবে। কিন্তু তারা সেগুলো এখনো আইনিভাবে অধিগ্রহণ করেনি। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের জমি কী পরিমাণ অধিগ্রহণ করা হবে তা-ও জানায়নি বা জমি বা জমির ওপর স্থাপিত বিল্ডিং বা বাড়ির ক্ষতিপূরণ কী দেওয়া হবে তা-ও জানায়নি। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল (রোববার) থেকে সড়কের আশপাশের সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
এএসএস/জেডএস