প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলো খুবই সীমিত। একইসঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলে সকাল থেকে বৃষ্টি ও ধানকাটায় মানুষজন ব্যস্ত থাকার কারণে ভোট দিতে আসেননি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (৮ মে) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোট পড়ার হার ৩০-৪০ শতাংশের মধ্যে হতে পারে। সকালে বৃষ্টি ও ধানকাটার মৌসুম বিধায় ভোট পড়ার হার কম হতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ভোটাররা ধান কাটায় ব্যস্ত থাকায় ভোটকেন্দ্রে আসেননি। এ ছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ঝড়-বৃষ্টিও হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোটার বেশি এলে আরও বেশি ভালো হতো। কিন্তু আমরা গণনা করি কে বেশি ভোট পেয়েছেন। আমার বিষয় হচ্ছে ভোট হয়েছে কি না, ভোটাররা আসতে পেরেছেন কি না, ভোট দিতে পেরেছেন কি না, কোথাও কোনো অনিয়ম হলো কি না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।

সিইসি বলেন, কিছু জায়গায় অনিয়ম হয়েছে। যে কারণে আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেছি। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন এবং তারা দায়িত্ব নিয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করেছেন। সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালোর ছিল।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

আরএইচটি/এসএসএইচ