ছেলেকে বাঁচাতে কিডনি দেবেন মা, অর্থাভাবে হচ্ছে না প্রতিস্থাপন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের গুজরা গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম ও শেফালী আক্তারের মেজো ছেলে শাহীন (২৫)। তার দুটি কিডনিই নষ্ট। চিকিৎসকরা বলছেন, দ্রুত শাহীনের শরীরে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে না পারলে তাকে বাঁচানো যাবে না।
পরিবারে তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে শাহীন দ্বিতীয়। অসুস্থ মা-বাবাকে নিয়ে সাত জনের সংসার। পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন শাহীন। সেখান থেকে যা উপার্জন হতো তা দিয়েই কোনোরকমে সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এদিকে শাহীনের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে তার বাবাও নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
দুই বছর আগে শাহীনের জন্ডিস ধরা পড়ে। একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানতে পারেন শাহীন ও তার পরিবার। তাতে আকাশ ভেঙে পড়ে তাদের মাথায়। শাহীনের বাবা দিনমজুর। তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী।
বিজ্ঞাপন
এতদিন ধরে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে শাহীনের চিকিৎসা ও ডায়ালাইসিস করে আসছিলেন তিনি।
বর্তমানে ঢাকায় সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করে কোনোমতে জীবন বেঁচে আছে শাহীনের। ডাক্তার কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। এ অবস্থায় ছেলের জীবন বাঁচাতে নিজের কিডনি দিতে চান মা শেফালী আক্তার। কিন্তু এর জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই তাদের। তাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলের জীবন বাঁচাতে সবার কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, শাহীনের কিডনি প্রতিস্থাপন করতে অপারেশন ও বিভিন্ন ফি বাবদ ৮-১০ লাখ টাকা খরচ হবে। একটি কিডনি ও অপারেশনের টাকা জোগাড় করার জন্য দীর্ঘ দুই বছর বিভিন্ন মাধ্যমে ধরনা দিলেও আশানুরূপ ফল মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে ছেলেকে বাঁচাতে সবার কাছ থেকে সহযোগিতা আশা করছে শাহীনের পরিবার।
শাহীনের মা শেফালী আক্তার বলেন, আপনারা পাশে দাঁড়ালে ছেলেকে আমি আমার কিডনি দেব।
এ অবস্থায় সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে শাহীনের পরিবার। সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নম্বর- ০১৮১৪৩১৯১৮৬।
এছাড়া অনুদান দেওয়ার জন্য ০১৮১৪৩১৯১৮৬ ও ০১৩১৮৮১৬৪৮৮ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন শাহীনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম।
এসএসএইচ