ফিলিপাইনে বাংলা ফিল্ম ও ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত
ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে ফিলিপাইনে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী ‘বাংলা ফিল্ম অ্যান্ড ফুড ফেস্টিভ্যাল’ উদযাপিত হয়েছে।
বাংলা চলচ্চিত্র ও খাবারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতিকে ফিলিপিনোদের মধ্যে তুলে ধরার লক্ষ্যে সম্প্রতি আয়োজিত অনুষ্ঠান যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন এবং ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পরিচালক রবার্ট রাউন্ড।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনী দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর ভিত্তি করে শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমা ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক রবার্ট রাউন্ড সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় দূতাবাসকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে এ উৎসবে বিভিন্ন ঘরানার নান্দনিক বাংলা সিনেমা প্রদর্শন ফিলিপিনো দর্শকরা বাংলা চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির বিষয়ে আরো আগ্রহী উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রদূত বোরহান উদ্দিন তার বক্তব্যে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গভীর তাৎপর্যের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মানুষ একে অন্যকে আরও গভীরভাবে জানতে পারে। সে ধারা অব্যাহত রাখতেই ফিলিপিনোদের মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্র ও বাংলা খাবার বিস্তৃতভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে দূতাবাস প্রথমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ফিলিপাইন পারস্পরিক বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উদ্বোধনী দিনে প্রায় চার শতাধিক দর্শক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন। প্রদর্শনী শেষে উপস্থিত রাষ্ট্রদূতরা সব শ্রেণির দর্শক সিনেমাটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তারা জানান, চলচ্চিত্রটি দেখার মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান এবং দেশের জন্য তার ত্যাগ-তিতীক্ষা সম্পর্কে অনেক কিছু নতুনভাবে জানতে পেরেছেন।
উৎসবের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে প্রদর্শিত অন্যান্য সিনেমাগুলো হচ্ছে- ‘বিউটি সার্কাস’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ‘রিকশা গার্ল’ এবং ‘নোনাজলের কাব্য’।
তিন দিনব্যাপী এই উৎসবে আট শতাধিক চলচ্চিত্রপ্রেমী অংশগ্রহণ করেন। উৎসবের প্রতিটি সিনেমাই দর্শকদের কাছে বিপুল সাড়া ফেলে। প্রদর্শনী শেষে দর্শকরা বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উৎসব আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য দূতাবাসকে অনুরোধ জানান।
এনআই/জেডএস