রাজধানীর ডেমরা এলাকায় কেমিক্যালের ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করে ছয় কোটি টাকা মূল্যমানের ৮ হাজার ৬০০ লিটার বিদেশি মদসহ তিনি মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. দ্বীন ইসলাম (৪৮), আনিসুর রহমান রিপন (৫১) ও আব্দুল হাদী (২০)।

র‌্যাব জানিয়েছে, পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড নামক পানি পরিষ্কার করার কেমিক্যাল আমদানির আড়ালে কেমিক্যালের জারিকেনে করে কৌশলে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ দেশে নিয়ে আসা হতো।

শনিবার (১৮ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকার একটি কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করে ওই মাদকসহ কারবারিদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল।

রোববার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ডেমরা আমুলিয়া মডেল টাউনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান র‍্যাব-১০ অধিনায়ক (সিও) অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার দ্বীন ইসলাম চীন থেকে পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড নামক পানি পরিষ্কার করার কেমিক্যাল আমদানি করে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকার একটি গোডাউন মজুত করে রাখতেন। পরে সেগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন।

তবে এই বৈধ ব্যবসার আড়ালে দ্বীন ইসলাম ও তার প্রধান সহযোগী আনিসুর রহমান রিপনসহ ৪-৫ জন মিলে স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে একটি মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। যার অংশ হিসেবে দ্বীন ইসলাম চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উল্লিখিত কেমিক্যালের সঙ্গে কেমিক্যালের জারিকেনে করে কৌশলে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ দেশে নিয়ে আসতেন। পরে এসব মদ ডেমরা এলাকায় তাদের গোডাউনে মজুত রাখা হতো।

পরবর্তীতে বিদেশি মদ দ্বীন ইসলামের সহযোগী আনিসুর রহমান রিপন ও আব্দুল হাদী পলাতক মনু ও ফিরোজদের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের কাছে সরবরাহ করা হতো। প্রতিটি জারিকেনে ২৫ লিটার করে বিদেশি মদ থাকে এবং প্রতিটি জারিকেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা বিক্রি করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। 

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে র‍্যাব-১০ অধিনায়ক বলেন, দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে চক্রটি কেমিক্যাল ব্যবসার আড়ালে প্রায় দেড় বছর ধরে এই মাদক কারবার পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেপ্তার দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অর্থ জালিয়াতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

জেইউ/জেডএস