চলতি অর্থবছর কোনো চাল আমদানি করা হয়নি : সংসদীয় কমিটিকে মন্ত্রণালয়
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশ থেকে কোনো ধরনের চাল আমদানি করা হয়নি বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি না করে দেশে উৎপাদিত চাল বাজারজাতের মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করা হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শাজাহান খান এমপি। কমিটির সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার, মো. মকবুল হোসেন, মো. মোস্তফা আলম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, এস. এম কামাল হোসেন, খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী এবং দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকের শুরুতেই আগের বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা এবং সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যশস্যের মান যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া এবং তা যথাযথ কিনা সে সম্পর্কে এবং খাদ্য অপচয় রোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে অবহিত করা হয় যে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোনো ধরনের চাল আমদানি করা হয়নি। দেশে উৎপাদিত চাল বাজারজাত করে চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গম আমদানি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যশস্যের যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা হয় এবং ভেজালমুক্ত খাদ্য বাজারজাত করার প্রতি বিশেষ নজরদারি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় নিরুৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে খাদ্য অপচয় রোধে প্রচার-প্রচারণার জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিয়ে, পিকনিক, সামাজিক কর্মসূচি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে খাদ্য অপচয় রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এরইমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে খাদ্যের ভেজালসহ সব অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি টাস্কফোর্স গঠনের উদ্যোগ নেওয়ায় কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এসআর/জেডএস