সব শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবি
জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা করাসহ দেশে ঘটা সব শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
শনিবার (১ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে সংগঠনটি আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, একের পর এক কালাকানুন এবং আইনের বিধিবিধান করার মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধা হরণ করা হচ্ছে। এখনও অধিকাংশ শ্রমিক মে দিবসের সবেতন ছুটি পায় না। শ্রম আইন অনুসারে সুযোগ সুবিধা, চাকরি ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা এবং অবাধে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত। বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য, বাড়ি ভাড়া ও আবাসন সংকটে শ্রমিকরা বিপর্যস্ত। নারী শ্রমিকরা বৈষম্য ও যৌন হয়রানির শিকার। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি আজও উপেক্ষিত। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে দালালদের খপ্পর থেকে মুক্ত করে, শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন স্বাধীন ও বিপ্লবী ধারায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তারা দাবি জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের খাদ্য, জীবন, স্বাস্থ্য এবং চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মরত শ্রমিকদের ঝুঁকিভাতা; ২০ রোজার মধ্যে মূল মজুরির সমান বোনাস ও বকেয়া পরিশোধ; বাঁশখালী, রানা প্লাজা ও তাজরিনসহ সব শ্রমিক হত্যার বিচার; নিহত শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন অনুসারে ক্ষতিপূরণ; অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত; সংবিধান ও আইএলও কনভেনশন অনুসারে শ্রম আইন সংশোধন; গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবন ধারণের উপযোগী মহার্ঘ্য ভাতা এবং শ্রমিকের রেশন, বাসস্থান, চিকিৎসার জন্য আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ, উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ ক্বাফি রতন, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমীন, পরিবহন শ্রমিকনেতা হযরত আলী, হকার নেতা আব্দুল হাশেম কবির, রিকশা শ্রমিক নেতা আব্দুল কুদ্দুস, সেকেন্দার হায়াত, শাহাদাৎ খাঁ প্রমুখ।
এমএইচএন/জেডএস