সংবাদপত্রের আলোচিত খবর
ওয়াল স্ট্রিট খেয়ে রিয়াজ এখন মতিঝিলপাড়ায়
ছবি : সংগৃহীত
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকায় আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। রূপায়ন লিমিটেড স্কয়ার নামের ১৪ তলা ভবনে অবস্থিত বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।
বিজ্ঞাপন
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
বেনজীর পরিবারের আরও ৮ ফ্ল্যাট, ৭৬ বিঘা জমি
বেনজীর পরিবারের নামে এ নিয়ে ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেল। এর আগে পাওয়া গিয়েছিল গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন গতকাল বুধবার নতুন করে খোঁজ পাওয়া বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।
কালবেলা
বিব্রত পুলিশে আতঙ্কে বেনজীর বলয়
সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্য সামনে আসায় পুলিশের ভেতরে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। পরিবার, স্বজন কিংবা বন্ধুদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা।
পুলিশ সূত্রের খবর, বেনজীর আহমেদ ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে র্যাবের মহাপরিচালক এবং সর্বশেষ আইজিপির দায়িত্ব পালন পর্যন্ত বাহিনীর ভেতরে নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করেছিলেন। সেই বলয়ের সদস্যদের দিয়ে পুলিশের কেনাকাটা, রেশন ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সব কাজ করিয়েছেন।
সমকাল
ওয়াল স্ট্রিট খেয়ে রিয়াজ এখন মতিঝিলপাড়ায়
তখন তাঁর বয়স সবে ৩২। ওই বয়সেই ওয়াল স্ট্রিটখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শেয়ারবাজারে বৈশ্বিক আর্থিক খাতের জায়ান্ট সিটি গ্রুপের হেজ ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বনে যান রিয়াজ ইসলাম। সেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।
রিয়াজ তাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, এ ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ; আছে বেশি মুনাফার সুযোগ। তবে লাভ দূরের কথা, ২০০৭ সালের ধসে সেসব ফান্ড প্রায় ৮৪ শতাংশ সম্পদমূল্য হারায়। এতে পথে বসেন শত শত বিনিয়োগকারী।
ঠগবাজির জেরে ২০০৮ সালে সেখানকার চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়ে দেশে ফেরেন এই শেয়ার ‘শাসক’ রিয়াজ দেশে এসে গড়ে তোলেন সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ‘এলআর গ্লোবাল’।
আরও পড়ুন
দেশ রূপান্তর
গণস্বাস্থ্য এখন ‘ভগ্নস্বাস্থ্য’
মুক্তিযুদ্ধে লড়াইয়ের টাটকা স্মৃতি আর ফিল্ড হাসপাতালের অভিজ্ঞতা নিয়ে স্বাধীন দেশের গণমানুষের সেবায় কাজে নেমে পড়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। চিকিৎসাশাস্ত্র পড়তে লন্ডনে ফিরে না গিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে যে কাজ শুরু করেছিলেন, মৃত্যুর আগপর্যন্ত একটু একটু করে তার বিস্তার বাড়িয়েছেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ডা. আখতার আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নাজিমুদ্দিন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. সিতারা বেগম মিলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টের অধীনে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তারা। বর্তমানে এ ট্রাস্টের অধীন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদমূল্য ২০ হাজার কোটি টাকা।
বণিক বার্তা
ব্যবসায়িক জৌলুস হারাচ্ছে টেলিকম খাত
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের মাধ্যমে তিন দশক আগে বাংলাদেশে টেলিকম খাতের ব্যবসার গোড়াপত্তন ঘটে। এরপর থেকে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোম্পানিগুলোর আয় ও মুনাফাও বাড়তে থাকে, যার সুবাদে টেলিকম খাতের ব্যবসা হয়ে ওঠে বেশ আকর্ষণীয়।
জাতীয় সংসদে সম্প্রতি উত্থাপিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও খাতটিতে করের পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে সিম ট্যাক্স ৫০ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও করপোরেট করের হার সাড়ে ১২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
কালের কণ্ঠ
বেনজীরের সম্পদ জব্দে হ্যাটট্রিক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আরও বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এর ফলে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সম্পদ জব্দের হ্যাটট্রিক করল দুদক।
তৃতীয় দফায় তাঁদের নামে বান্দরবানে ৭৫ বিঘাসহ মোট ৭৭ বিঘা জমি, রূপগঞ্জে ১০ কোটি টাকা মূল্যের বাংলো, উত্তরায় সাততলা বাড়ি, আদাবর-বাড্ডায় আটটি ফ্ল্যাট, মাছ ও গরুর খামার, টেলিভিশন চ্যানেল ও গার্মেন্টসের শেয়ারের তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়া অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমে গলদঘর্ম দুদক; খাঁচার ভেতর কেন পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।