চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার হাজতে আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানা পুলিশের দায়িত্বের কোনো অবহেলা হয়েছে কি না সেটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর), সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ) ও ওসি (পাঁচলাইশ)।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘তদন্ত কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে বলে শুনেছি।’

এর আগে চান্দগাঁও থানায় পরনের কাপড় খুলে দড়ি বানিয়ে তারপর আত্মহত্যা করেন মো. জুয়েল (২৬) নামে এক যুবক। 

বুধবার (৩ জুলাই) ভোর ৬টা ২৫ মিনিটে থানা হাজতের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জুয়েল চান্দগাঁও থানার খেজুরতলা এলাকার আব্দুল মালেক ওরফে আব্দুল মাবুদের ছেলে। কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় আদালত থেকে জারি হওয়া পরোয়ানার ভিত্তিতে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মোট ৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এদিকে আত্মহত্যা সংক্রান্ত একটি সিসিটিভি ফুটেজ হাতে আসে ঢাকা পোস্টের। যেখানে দেখা যায়, থানা হাজতে জুয়েল একা ছিলেন। হাজতের সামনেও কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। বুধবার ভোর ৬টা ২২ মিনিটের দিকে জুয়েল তার পরনে থাকা শার্ট খুলে ফেলেন। এরপর এটি হাজতের লোহার শিকের সঙ্গে পেঁচিয়ে দড়ি বানান। হাজতের ভেতরে থাকা বাথরুমের দেয়ালে উঠে রশি ভেন্টিলেটরের সঙ্গে লাগিয়ে গলায় ফাঁস দেন। 

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।

আরএমএন/এসকেডি