এএমআর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাত পদক্ষেপের আহ্বান
ফাইল ছবি
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাতটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (জিএলজি-এএমআর) শীর্ষক সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে সাতটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সেগুলো হলো-
১. অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কন্টেইনমেন্ট (এআরসি) লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, ব্যাপক মনিটরিং এবং প্রতিবেদন তৈরির ব্যবস্থা করা।
বিজ্ঞাপন
২. অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্তরে গাইডলাইন এবং নীতিমালা উন্নত করা।
৩. কার্যকর ও ব্যাপক এএমআর নজরদারি এবং সক্ষমতা তৈরি নিশ্চিত করতে পরস্পরের মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং কারিগরি সহায়তা বিনিময় করা।
বিজ্ঞাপন
৪. প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মালিকানা ভাগাভাগীর মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যের ও কার্যকর অ্যান্টিবায়েটিক এবং অন্য মেডিকেল সুবিধাগুলো সবার জন্য নিশ্চিত করা।
৫. স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে এএমআর-নির্দিষ্ট এবং এএমআর-সংবেদনশীল কাজের জন্য পর্যাপ্ত এবং টেকসই অর্থায়ন করা।
৬. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে এএমআর প্রতিরোধে বিনিয়োগ করা।
৭. সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সাশ্রয়ী এবং টেকসই সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ব নেতাদের এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মতো জনস্বাস্থ্য সংকট এরই মধ্যে তিন মিলিয়নের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তবে জীবাণুর ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা অর্থাৎ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্সের (এএমআর) আকারে আসন্ন মহামারি বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি ভয়ানক ক্ষতি করবে।
তিনি বলেন, এটি কেবল মানব জাতি, প্রাণী এবং উদ্ভিদ স্বাস্থ্যকেই বিপন্ন করবে তা নয়, এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে হুমকি হবে। অ্যান্টি ড্রাগ রেজিট্যান্স ভৌগলিক অবস্থা এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এইউএ/এনএফ