তিন হাসপাতাল ঘুরে শাহ আলম এখন ঢামেকে
স্পিডবোট চালক শাহ আলম/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কায় আহত স্পিডবোট চালক শাহ আলম (৩৮) তিন হাসপাতাল ঘুরে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার (৫ মে) বিকেল পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি তার।
মঙ্গলবার (৪ মে) ভোরে তাকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের এক্স-৭ বেডে তার চিকিৎসা চলছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শাহ আলমের মা আমেনা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় থাকি। আমার ছেলে শাহ আলম স্পিডবোট চালাতে জানে। আমাদের সাথে তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। সে কোথায় থাকত তাও জানি না আমরা। পরে খবর পাই সে ফরিদপুরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। সেখানে আমারা ছুটে যাই। পরে তাকে আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে নেই। গতকাল ভোরে আমার ছেলেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তার অবস্থা ভালো না। ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছি না। তার জ্ঞান নেই, শুধু পা নাড়ছে। মাথা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শুনেছি এই স্পিডবোটের অনেকেই মারা গেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গ, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে সোমবার (৩ মে) সকাল পৌনে ৭টায় ৩০ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে। মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ির বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটের কাছাকাছি এসে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। এ সময় স্পিডবোটের সব যাত্রী পানিতে পড়ে যান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হয়েছেন চার জন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিমুলিয়ায় স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে আহত বোটের চালক শাহ আলম ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছে।
এসএএ/এইচকে