কাজের জবাবদিহিতায় দুদকের স্বচ্ছতা কমিটি
অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাত সদস্যের টিম গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, কমিশনের নির্দেশে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুদকের কর্ম প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং জনবান্ধব করার ক্ষেত্রে এই কমিটির সুপারিশ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আমরা ঘরে-বাইরে সবার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আইনগতভাবেই অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বিজ্ঞাপন
দুদক সূত্র জানায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর বা সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য দুদক যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে, একইভাবে কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধ এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুদকের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- দুদক গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক মীর জয়নাল আবেদীন শিবলী, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা অনুবিভাগের পরিচালক উত্তম কুমরা মণ্ডল, বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদ, পরিচালক ( অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, পরিচালক (মানিলন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও একই অনুবিভাগের উপপরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন।
বিজ্ঞাপন
কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সদস্য যোগ করতে পারবে। দুদক সচিব ড . মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই কমিটিকে কমিশনের কর্মপ্রক্রিয়ার ছয়টি ক্ষেত্রে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তা চিহ্নিত এবং এসব সমস্যা সমাধানে সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিলের কথা বলা হয়েছে।
এই কমিটির কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে- অনুসন্ধান ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে দীর্ঘসূত্রতার কারণ চিহ্নিত করা ও সমাধানের সুপারিশ; অনুসন্ধান ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা , ভাবমূর্তি ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্র নির্ণয় করা। পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশসহ মতামত প্রদান; অনুসন্ধান ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাভিত্তিক কাজের পরিমাণ ভারসাম্য পর্যালোচনাপূর্বক মতামত প্রদান; অনুসন্ধান এবং তদন্ত কার্য পরিচালনার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা বা অপর কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক দুর্নীতি বা অভিযোগের আওতাধীন ব্যক্তিকে হয়রানি করার সুযোগের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা এবং তা নিরসনের জন্য সুপারিশ করা; কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অভিযোগসমূহ পর্যালোচনাপূর্বক করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদান; কমিশনের সুনাম ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে সুপারিশ প্রণয়ন ইত্যাদি।
দুদক সূত্র আরও জানায়, একই উদ্দেশে ইতোপূর্বে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে দুদক যেসব সুপারিশ পাঠিয়েছে সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে, সে সম্পর্কে করণীয় নির্ধারণে দিক-নির্দেশনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুরোধ জানিয়ে এক জরুরি পত্র দিয়েছে দুদক।
আরএম/এফআর