বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে চট্টগ্রামজুড়ে দিনভর সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ, বিক্ষোভকারী ও সরকার দলের শতাধিক সমর্থক আহত হন। এদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের পর পুরো চট্টগ্রামে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সড়কে তেমন গাড়ির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। খুব জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

রোববার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চকবাজার, পাঁচলাইশ ও কাতালগঞ্জ গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের দু’পাশের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সড়কে গাড়ির উপস্থিতও তেমন নেই। মোড়ে মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। অলিগলি একেবারেই ফাঁকা। 

বাজার করতে বের হওয়া চকবাজার এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, কারফিউ দেওয়া হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। তাই ঘরের বাজারের জন্য বের হয়েছি। আমরা শান্তি চাই।

এর আগে, সকাল থেকে নগরের কোতোয়ালি থানাধীন নিউ মার্কেট মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সমাবেশ থেকে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ টিয়ারসেল ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে ৮ জন আহত হন বলে জানা গেছে।

এরপর নগরীর কাজীর দেউড়ী ও জামালখান এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। 

এদিকে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১১টায় নিউ মার্কেট চত্বরে গণজমায়েত করে মহানগর আওয়ামী লীগ। ওই সময় তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। নগরে দুই হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, থানা পুলিশ মাঠে রয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষার্থে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

কেএ