শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার জনতা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়েছেন। এই সুযোগে এক শ্রেণির মানুষকে গণভবন থেকে টেবিলফ্যান, চেয়ার, সোফাসেট, কম্বল,  পানির ফিল্টার, মাইক্রো ওভেন, মুরগি ও কবুতর ফ্রিজের মাছসহ বিভিন্ন পণ্য নিতে দেখা গেছে। এভাবে যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের গণভবনের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করতেও দেখা গেছে।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে গণভবনে প্রবেশ করেন।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা উড্ডয়ন করেন। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন।

শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগও পাননি।

অপরদিকে দুপুরে সেনা সদরদপ্তরে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

জানা গেছে, বৈঠকে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলসহ অনেকে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

এর আগে ৫ আগস্ট সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে ভাষণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সোমবার দুপুর ৪টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এপর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আরএম/এমএ