চট্টগ্রামের মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় /ছবি-ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-মার্কেটে ব্যবসা করার কথা থাকলেও তা মানছেন না অনেক ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (৭ মে) সরকারি ছুটি হওয়ায় মার্কেটগুলোতে ভিড় ছিল। তবে প্রথম দিকের তুলনায় বেচাকেনা শুক্রবার অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

শুক্রবার দুপুরের চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার, তামাকুমন্ডি লেন ও জুহুর হর্কাস মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ভিড়ের মধ্যে মানুষ কেনাকাটা করছেন। এসময় অনেক দোকানিকেও মাস্ক ছাড়াই দেখা গেছে। মাস্ক থাকলেও থুতনিতে লাগানো। এছাড়া দোকান বা মার্কেটের প্রবেশের পথে তাপমাত্রা যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা নেই। ছিল না প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজেরও কোনো ব্যবস্থা। এছাড়া মার্কেটে আসা অনেক ক্রেতারাও মাস্ক পরেননি। 

তামাকুমন্ডি লেনে কাপড় ক্রয় করতে আসা জসিম উদ্দিন নামে একজন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দােকানপাট ও মার্কেট চলার কথা শুনে আসলাম। কিন্তু এসে দেখি দোকানিদের অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। এছাড়া আমি তিন-চারটি দোকানে গেয়েছি কিন্তু হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে দেখিনি। সামাজিক দূরত্বেরও কোনো বালাই নেই।

জহুর হকার্স মার্কেটে আসা ফরিদ উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, বাচ্চাদের জন্য কাপড় নিতে এসেছি। বাচ্চাদের তো বুঝানো যায় না। তাই করোনা ঝুঁকির মধ্যেই আসতে হয়েছে।

চট্টগ্রামে ঈদ কেনাকাটায় মানুষের ভিড় /ছবি- ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রাম সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মো. মিরন হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত নিম্ন ও মধ্য আয়ের লোকজন হকার্স মার্কেটের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করতে আসেন। তবে আমরা দোকানদার ও ক্রেতাদের মাস্ক পরতে উৎসাহিত করছি। তিনি বলেন, এতদিন তেমন ক্রেতা ছিল না। বৃহস্পতিবার কিছু মানুষ আসছে। আর আজকে ক্রেতাদের আগমন দেখা যাচ্ছে।

চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজার থেকে রিয়াজউদ্দিন বাজার ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন রিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূ। সঙ্গে ছিল দুই সন্তান। কারোর মুখে মাস্ক ছিল না। এ ব্যাপারে রিনা আক্তার বলেন, তাড়াহুড়া করে চলে আসায় মাস্কের কথা ভুলে গেছি।

তামাকুমুন্ডি লেনের সুমাইয়া পাঞ্জাবির মালিক মুখের মাস্ক খুলে রেখেই ব্যবসা করছিলেন। তিনি বলেন, মাস্ক ময়লা হয়ে যাওয়ায় খুলে রেখেছি।

জহুর হকার্স মার্কেটের দোকানদার লিটন মিয়া বলেন, গরমে মাস্ক পরে থাকা রাখা কষ্ট। তাই মাস্ক খুলে রেখেছি। আজ প্রত্যাশিত বিক্রি  হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

দোকানের বিক্রয়কর্মীদের মুখেও মাস্কও নেই /ছবি- ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজারের সিটি মার্টের বিক্রয়কর্মী নাজিম আহমেদ বলেন, আজ অনেক ক্রেতা আসছেন। দোকান খোলার প্রথমদিকে ক্রেতা কম থাকলেও গত তিন চারদিন ধরে প্রচুর মানুষজন আসছেন। 

অপরদিকে টেরিবাজার এলাকার বধুয়া শপিং সেন্টারের মঞ্জুরুল আলম বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবার বিক্রি হয়নি। আজ কিছু কাস্টমার আসছে।  

এদিকে, চট্টগ্রামের নিউমার্কেটও ক্রেতা-বিক্রেতা অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। নিউমার্কেটেও আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ ছিল। 

বুধবার ও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার, তামাকুমুন্ডি লেন ও টেরিবাজার ঘুর দেখা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার পরেও এসব এলাকার মার্কেট ও কাপড়ের দোকান খোলা। ওই সময় তাদের বেচাকেনা চলছিল।

কেএম/ওএফ