নিউ মার্কেটের গেটের নিরাপত্তাপ্রহরী কামাল সরকার

মার্কেটের গেটে উপচে পড়া ভিড়। মানুষ ঢুকছে গাদাগাদি করে। প্রবেশদ্বারেই লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেখলেই বলছেন, মাস্ক পরুন। 

কারও কারও মাস্ক ঝুলছে থুতনিতে। কারও পকেটে অথবা ব্যাগে। তাদেরকেও মাস্ক পরিয়ে ঢোকাচ্ছেন তিনি। আবার না থাকলে গেটের সামনের দোকান থেকে মাস্ক কিনে পরতে বলছেন। 

শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেটের গেটে দাঁড়িয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করছেন নিরাপত্তাপ্রহরী কামাল সরকার। তিনি হাঁক দিচ্ছেন, ‘মাস্ক পরুন’, ‘সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন’, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন’।

দীর্ঘ ছয় বছর ধরে নিউ মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘করোনার সময় থেকে সবাইকে মাস্ক পরার কথা বলি আমরা। শিফটিং ডিউটি আমাদের।’

কিছুটা বিরক্ত হয়েই বললেন, ‘এখানে যে অবস্থা প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) বসানো দরকার।’

সরেজমিনে দেখা যায়, নিউমার্কেটের প্রবেশদ্বারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অনেকটা ধাক্কাধাক্কি করেই ক্রেতারা মার্কেটে প্রবেশ করছেন। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক পরা থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায়ের কোনো চিহ্ন নেই বললেই চলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মার্কেটের ভেতরে অযথা ঘুরাঘুরি ছাড়াও কেউ কেউ বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ কেউ মাস্ক ছাড়া অযথাই হাঁটছেন।

বেচাবিক্রির বিষয়ে নিউমার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী জলিল ভূঁইয়া বলেন,‌ ‘আরও আগে বাস চালুর দরকার ছিল। আমাদের কাস্টমাররা তো প্রথম কয়দিন ঘুরতে আসেন। এরপর কেনাকাটা করেন। গতকাল থেকে কাস্টমার আসতে শুরু করেছেন। তবে বিক্রি বাড়েনি।’

ক্রেতাদের দাবি করেছেন, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই তারা মার্কেটে এসেছেন। পছন্দের জিনিসটি ন্যায্য মূল্যে কিনতে একটু ঘুরাঘুরি করতেই হয়। ক্লান্ত অনুভব করছেন বলে বসে কিছুটা জিরিয়ে নিচ্ছেন।

মিরপুরের গোলারটেকের বাসিন্দা হাবিবুর। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি জানান, বাচ্চার জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছেন। বাস চলাচল না থাকায় এই কয়দিন আসতে পারেননি।

হাবিবুর বলেন, ‘খুব বেশি সময় নেব না। কেনাকাটা করেই চলে যাব। মার্কেটে এত ভিড় জানলে আসতাম না।’

এলিফ্যান্ট রোডের জুতা বিক্রেতা কিশোর বলেন,‌ যা বিক্রি হচ্ছে তাতে দোকান ভাড়াও উঠবে না। এত মানুষ মার্কেটে কিন্তু বিক্রি তো বাড়ছে না।

এইউএ/এফআর