ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তাঁর স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিপুল সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এ ছাড়া তাঁদের নামে থাকা বিদেশি ব্যাংকের হিসাবগুলোতে বড় অঙ্কের অর্থ জমা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নিয়ে এখন পর্যন্ত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁদের পরিবারের কোনো সদস্য বিদেশে অর্থ নেননি। ফলে কীভাবে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিপুল সম্পদ

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, তাঁর স্ত্রী, পুত্র-কন্যা এবং তাঁদের নামে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে দেশের ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। এসব হিসাবে আগামী ৩০ দিন কোনো লেনদেন করা যাবে না। এমনকি তাঁদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডেও কোনো লেনদেন হবে না। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গতকাল এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বিএফআইইউয়ের প্রধানের পদত্যাগের পর সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্যাংকে লুট ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা

বিগত সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে ব্যাংক খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে উল্লেখ করে এর একটি চিত্র তুলে ধরেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনেক মৃতপ্রায় ব্যাংককে আর বাঁচিয়ে রাখার সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না বলে মনে করে সংস্থাটি। একই সঙ্গে বিপর্যস্ত কিছু ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে আরও একবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।

সিপিডি বলছে, পুরো ব্যাংক খাত চলে গেছে নিয়মনীতির বাইরে। এতদিন বিশেষ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর প্রসারে কাজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত এক দশকের বেশি সময়ে এই খাতে ২৪টি বড় ধরনের কেলেঙ্কারি হয়েছে। এতে লুট হয়েছে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।

কালবেলা

মালিকানা দ্বন্দ্বে অস্থির ব্যাংকিং খাত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠেছে ব্যাংকিং খাত। একের পর এক বাণিজ্যিক ব্যাংকে চলছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে দখল হওয়া বিভিন্ন ব্যাংক ফেরত পেতে পুরোনো উদ্যোক্তারা তৎপর হয়ে উঠেছেন। কোনো কোনো ব্যাংকে মালিকদের মধ্যে চলছে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। আবার দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কোনো কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরদিন থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে গত ৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের পর অন্যান্য ব্যাংকেও তা ছাড়িয়ে পড়েছে। যেসব ব্যাংকের মালিকানা দ্বন্দ্ব ছিল, সেগুলোতেই ক্ষোভ-বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বেশি দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি অস্থিরতা দেখা গেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকে। ব্যাংকটিতে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ অন্তত ১০টি ব্যাংকে মালিকানার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে।

ইত্তেফাক

প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা ওয়াসার ঘাড়ে

অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ওয়াসাকে ডুবিয়েছেন সংস্থাটির এমডি তাকসিম এ খান। টানা ১৫ বছর ধরে এমডি পদে থেকে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে নিজের আখের গুছিয়েছেন তিনি। বিদেশি ঋণের ভারে ডুবতে বসেছে সংস্থাটি। ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে পড়েছে তারা। ইতিমধ্যে সরকার পতনের পর গা ঢাকা দিয়েছেন তাকসিম। সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে প্রথম বারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর দফায় দফায় তার মেয়াদ বাড়তে থাকে। সর্বশেষ গত বছরের আগস্ট সপ্তম বারের মতো ঐ পদে আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি। তাকসিমের আমলে ঢাকা ওয়াসায় বৈদেশিক ঋণের টাকায় বড় বড় কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়। এর ফলে ঢাকা ওয়াসাকে ঋণের সুদ ও আসলের কিস্তি পরিশোধে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি এবং বাস্তবায়নের পর তা চালু করতে না পারার মতো কারণে সংস্থাটির ব্যয় বেড়েছে।

মানবজমিন

ঢামেকের মর্গে এখনো ১৯ লাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় হতাহতের বড় অংশই এসেছে ঢাকা মেডিকেলে। এখান থেকে প্রায় একশ’ মানুষের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। অনেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে গেছেন। আঞ্জুমানের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। এখনো হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে ১৯ জনের লাশ। তাদের বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। অজ্ঞাত হিসাবেই তাদেরকে মর্গে রাখা হয়েছে। কারণ তাদের পরিচয়ও মিলছে না বা স্বজন পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে মর্গে আসেন। কিন্তু মর্গে রাখা মরদেহগুলোর শারীরিক অবস্থা দেখে শনাক্ত করা বা চেনার কোনো উপায় নাই।

ঢামেকের তথ্যমতে, সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৯৮ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রড ডেড ছিল ৪৭ জন।

গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এ সময় গুলিতে মারা গেছেন শত শত সাধারণ শিক্ষার্থী ও পুলিশ ও সাধারণ মানুষ। কয়েকটি মরদেহ এসেছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে। মরদেহগুলো বিকৃত হওয়ায় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের স্বজনদের। লাশগুলো পচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।

কালের কণ্ঠ

আমানত নিয়ে শঙ্কায় গ্রাহক

সংকটে থাকা দেশের ব্যাংক খাতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সরকার পতনের পর এই খাতে ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এমনকি আন্দোলন-বিক্ষোভ গোলাগুলিতে গড়িয়েছে। এমন অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন আমানতকারীরা।

সরকার পতনের পর থেকে মালিকানা বদল ও পদবঞ্চিতদের দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে ব্যাংকে ব্যাংকে। ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনায় অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। সরকার পতনের পর থেকে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকটির পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ‘লুটেরাদের’ বের করে দেওয়ার দাবি জানান।

আজকের পত্রিকা

এবি ব্যাংকের কারসাজি: ১৬ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ গোপন

খেলাপি ঋণের তথ্যে ব্যাপক কারসাজি করেছে দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংক পিএলসি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটি গত বছরের আর্থিক বিবরণীতে খেলাপি ঋণের যে পরিমাণ দেখিয়েছে, তা প্রকৃত খেলাপির চেয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা কম। এর মধ্য দিয়ে বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন করেছে ব্যাংকটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ডিসেম্বর শেষে এবি ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের মোট পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। তার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট ঋণের ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশই খেলাপির খাতায় চলে গেছে। কিন্তু এবি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংককে যে আর্থিক বিবরণী দিয়েছে, তাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেখানো হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সে হিসাবে এবি ব্যাংক খেলাপি ঋণ কম দেখিয়েছে ১৬ হাজার ১০ কোটি টাকা।

বণিক বার্তা

পলাতক স্বৈরশাসকরা কেউই রাজনীতিতে ফিরতে পারেননি

আশির দশক। ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফিলিপাইন। তবে তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্কোসের। অর্থনীতি ঠিক করার চেয়ে বিপুল অর্থ ব্যয়ে চিত্রকর্ম সংগ্রহেই মনোযোগ বেশি তার। জুতা, গাউন ও গহনা সংগ্রহে লাখ লাখ পেসো ব্যয় করছেন ফার্স্ট লেডি ইমেলদা মার্কোস। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই।

সরকারি বাহিনী ও মার্কোস অনুগতদের হাতে খুন হয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এরই মধ্যে নিষ্ঠুরতম স্বৈরশাসকের তকমা পেয়ে গেছেন মার্কোস। একপর্যায়ে তার বিরুদ্ধে মাঠে নামে ক্ষুব্ধ ফিলিপিনোরা। আন্দোলন রূপ নেয় গণ-অভ্যুত্থানে। ১৯৮৬ সালের সে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে আশ্রয় নেন মার্কোস। তিন বছরের মাথায় নির্বাসনেই মৃত্যু ঘটে ক্ষমতার শোকে বিপর্যস্ত মার্কোসের।  

দেশ রূপান্তর

৬ মাসের মধ্যে পুলিশে সংস্কার

সম্প্রতি আন্দোলন ঘিরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শিক্ষার্থী ও নিরপরাধ লোকজনের মৃত্যু এবং পাল্টা হামলার শিকার হওয়া এক নজিরবিহীন ঘটনা। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলেছে। এসব ঘটনায় একদিকে পুলিশের মনোবলে প্রভাব পড়ে, অন্যদিকে বাহিনীতে অস্থিরতা তৈরি হয়। এ অবস্থায় ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ হিসেবে পুলিশের ভাবমূর্তি ফেরাতে বাহিনীতে সংস্কার আসছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুলিশে আমূল পরিবর্তন আসছে। রাজনীতির বেড়াজাল থেকে বাহিনীটিকে বের করে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে বিশদ আলোচনা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরও কাজ শুরু করে দিয়েছে। কোন কোন আইন সংশোধন করা যায় তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশের পোশাক ও মনোগ্রাম পরিবর্তন করা হবে। এখন মনোগ্রামে ‘নৌকা প্রতীক’ রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই বড় ধরনের রদবদল করা হবে। ইতিমধ্যে বদলির তালিকা প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে।

সমকাল

জাতীয় শোক দিবস ও ছুটি বাতিলের পরামর্শ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, ১৫ আগস্ট জমায়েত হলে শেখ হাসিনার দলকে প্রতিহত করবে অভ্যুত্থানকারীরা। আলাদা বৈঠক থেকে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে দলগুলো। উপদেষ্টাদের কথা কম বলে দ্রুততম সময়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ সম্পন্নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একটি দলের সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা পরিষ্কার করেছেন, তিনি ২০০৮ সালের মতো এবারও ক্ষমতা নিতে আগ্রহী ছিলেন না। শিক্ষার্থীর অনুরোধে এসেছেন। ছাত্র-জনতার কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সম্পন্ন করার আগে নির্বাচনের চাপ দিলে তিনি দায়িত্বে থাকতে চান না।

এছাড়া সরকার বাইরের কারও নিয়ন্ত্রণে নেই; তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের অনেক ব্যাংক ‘মৃতপ্রায়’; গোপালগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ; সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে আছে সরকার; পরিবারসহ জাভেদ ও আরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।