বাঁ থেকে নুরুল আমিন ভূঁইয়া ও তার ভাই আলামিন ভূঁইয়া/ ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর ওয়ারীর হাটখোলা এলাকায় আল আমিন ভুঁইয়া (৪২)ও নুরুল আমিন ভুঁইয়া (৩৫) আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আল-আমিন ভূঁইয়া ওয়ারী থানার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওরারী হাটখোলার ফকির বানু টাওয়ারের পাশের গলিতে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আল আমিন ও নুরুল আমিন ওয়ারীর ২ নং কে এম দাস লেনের শামসুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে ছিলেন।

নিহতের বড় ভাই রুহুল আমিন বলেন, আমার ছোট ভাই আল আমিন ওয়ারী থানা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিল। আরেক ছোট ভাই নুরুল আমিন পাঠাও মোটরবাইক চালক ছিল। দুই ভাইকে কে বা কারা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ওয়ারীর হাটখোলা এলাকায়  রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান আমার দুই ভাই আর বেঁচে নেই। কারা আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এ বিষয়ে আমরা এখনও কিছু বলতে পারছি না।

রুহুল আমিন আরও বলেন, গতকাল রাতে আসিফ, ইকবাল, ফয়সাল ও টুটুল ডেকে আমার ভাই আলামিনকে ডেকে নিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। তারা সবাই কাউন্সিলর আলোর লোক ছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে দুই ভাই বের হয়। পরে সাড়ে ১১টায় খবর পাই আমার দুই ভাইকে কে বা কারা কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে গেছে। আমরা ধারণা করছি, আসিফ ইকবাল ফয়সাল ও টুটুল কাউন্সিলর আলোর ইন্ধনে আমার দুই ভাইকে হত্যা করেছে। 

নিহত আল-আমিন ভুঁইয়ার স্ত্রী মুনমুন বলেন, গতকাল রাত ১২টার দিকে আমার আসিফ ইকবাল ফয়সাল ও টুটুলের সঙ্গে আমার স্বামীর কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তারা আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেয়। সকালে কেউ একজন আমার স্বামীকে ফোন করে নিচে নামতে বলে। আমার নিষেধ সত্ত্বেও সে নিচে নামে। এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারি কে বা কারা আমার স্বামীকে কুপিয়ে ফেলে রেখে গেছে। 

তিনি বলেন, ক্লাসিক ডেভেলপার কোম্পানির মালিক রিপনের সঙ্গেও আমাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে, সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

এসএএ/এসকেডি