শান্তি নিকেতনকে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের স্বীকৃতি জানিয়েছে। এবার সেই স্বীকৃতিকে সম্মান জানাতেই তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ভারতীয় ডাক বিভাগ ৮টি ডাক টিকিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করল শান্তিনিকেতনের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে।

সোমবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পরিচালক রবীন্দ্রভবন অধ্যাপক অমর পাল, পোস্টমাস্টার জেনারেল কলকাতা আঞ্চলিকের অশোক কুমার, প্রধান পোস্টমাস্টার জেনারেল নিরোজ কুমার, শান্তিনিকেতনের হেরিটেজ কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যাধিকার সাথী গঙ্গোপাধ্যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিগ ঘোষ, পাঠভবন ও সংগীত ভবনের পড়ুয়া, ডাকবিভাগের কর্মী ও অন্যান্যরা।

রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিতে ২০২২ সালে শান্তি নিকেতন ডাক বিভাগে তৈরি হয় বিশেষ সংগ্রহশালা। নাম দেওয়া হয় ‘ছায়াবীথি’। যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব ডাকটিকিট স্থান পায়। আর সেই সংগ্রহশালা ডাকটিকিট গুলোই তুলে ধরা হয়েছে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে। যেখানে বিশ্বভারতীর সাবেক শিক্ষার্থীরা ডাক টিকিট প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছেন এবং ডাক টিকিট, স্ট্যাম্প সংগ্রহও করছেন।

পোস্টমাস্টার জেনারেল কলকাতা আঞ্চলিকের অশোক কুমার জানান, “রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রেকে সম্মান জানাতেই ভারতীয় ডাকবিভাগ নতুনভাবে ঐতিহাসিক ভবনের ছবিসহ ৮টি ডাক টিকিটের উদ্বোধন হয়েছে। শান্তিনিকেতন থেকে যে প্রান্তেই চিঠি যাক না কেন থাকবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের বিশেষ স্ট্যাম্প। ডাকটিকিটগুলোতে ফুটে উঠবে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও প্রকৃতির ছবি। এছাড়া শান্তিনিকেতনের বাসিন্দাদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েই প্রতিদিন ডাক বহনকারী গাড়ি পৌঁছাবে কলকাতায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ডাক পৌঁছে দেওয়া হবে।”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ব পরিচিতির কারণে তাকে নিয়ে ৩৪টি দেশ থেকে স্মারক ডাকটিকিট, ডাকটিকিটের শিটলেট, স্যুভেনির শিট, মিনিয়েচার শিট, উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খাম, পোস্টকার্ড, অ্যারোগ্রাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ভারত থেকে, ১৯৫২ সালের ১ অক্টোবর। যার মূল্য ছিল ১২ আনা। বাংলাদেশ ১৯৯১ সালের ৭ আগস্ট বিশ্বকবির ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মত স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে, যার মূল্য ছিল ৪ টাকা। ২০১১ সালের ৬ মে সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যমানের ৪টি ডাকটিকিটের পর শান্তিনিকেতনকে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র স্বীকৃতি স্বরূপ ৫ টাকা মূল্যে ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশ করল ডাকবিভাগ। যা সহজেই পৌঁছে যাবে বিশেষ খাম, পোস্টকার্ড, ডাক টিকিটের মাধ্যমে।

এসএম