রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর রোডের একটি ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় স্যামসাং মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান ফেয়ার গ্রুপের অফিসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পর অফিসের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে ভবনের ছাদে উঠেন।

এ সময় পুরো ভবন কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তখন ছাদে ওঠা ভবনটির লোকজন সিঁড়ি জাতীয় একটি মাধ্যম ব্যবহার করে লাফিয়ে পাশের একটি ভবনে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। এভাবে প্রায় ১০০ জন পাশের ভবনের ছাদে গিয়ে জীবন রক্ষা করেন বলে জানা গেছে।

তাদের একজন ফেয়ার গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং তানসিন কবীর। তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে এগারোটার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের তিন তলার অফিস ত্রিপুরা ভবন অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা জীবন বাঁচাতে এদিক সেদিক ছুটতে থাকি। পরে আমরা ভবনের ছাদে উঠে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেই এবং জীবনরক্ষার আকুতি জানাই।

পরে আগুন লাগা ভবনের পাশের ভবনের লোকজনের কাছে আমরা অনুরোধ জানাই তারা যেন আমাদের ছাদ থেকে তাদের ছাদে যেতে সাহায্য করে। পরে ওই ভবনের লোকজন একটি ছোট মইয়ের মতো কিছু একটার ব্যবস্থা করেন। পরে ওই মই বেয়ে আমরা লাফিয়ে লাফিয়ে পাশের ভবনের ছাদে যাই। প্রায় ১০০ জন লোক আমরা এভাবে পাশের ভবনের ছাদে গিয়ে জীবন রক্ষা করি।

তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে কালো ধোঁয়ায় পুরো ভবন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। অনেকে তখন শ্বাস নিতে পারছিলেন না। অনেকেরই দম বন্ধ হয়ে আসছিল। আমরা কোনোরকমে ছাদে উঠে জীবনরক্ষা করেছি। তবে কেউ হতাহত হয়েছে কি না আমি জানি না। হুড়োহুড়ি করে ছাদে ওঠার সময় অনেকে ধাক্কা খেয়ে আহত হতে পারেন।

এদিকে ঘটনার প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর ভবনটিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার।

এমএসি/এসএসএইচ