ঢাকা পোস্টে গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘নওফেলের প্রশ্রয়ে বেপরোয়া কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের একটি অংশে নিজের নাম থাকা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম।

এতে বলা হয়েছে, ১২/০৯/২০২৪ তারিখ ‘ঢাকা পোস্ট’ অনলাইন পত্রিকায় ‘নওফেলের প্রশ্রয়ে বেপরোয়া কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের একটি অংশে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নাম জড়ানো হয়েছে।

প্রকৃত তথ্য হচ্ছে যে, আমি (মীর্জা ফারুক ইমাম, রেজিস্ট্রার, সিভাসু) গত ২০১৩ সালে উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে বনবিদ্যা বিষয়ে পলাতক ও ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা, যুক্তরাজ্য থেকে এমএস-সি ডিগ্রিধারী এবং দেশ-বিদেশ হতে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সিভাসুতে যোগদানের পূর্বে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সরাসরি ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করত : ৫(পাঁচ) বছর কর্মরত ছিলাম এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে বর্তমান পদে যোগদান করি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে আমি বন বিভাগে ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা পদে ১৪ (চৌদ্দ) বছর নিয়োজিত ছিলাম এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে ২০০৮ সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, বিধি-বিধান মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রেজিস্ট্রার এবং রেজিস্ট্রার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালন/সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। আমার সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অসত্য, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

২০২৪ সালের শুরুতে ইউজিসির একটি টিম সিভাসুতে সফরে আসে। ওই সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়ম ভেঙে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, বাজেট বহির্ভূত খরচ, অতিরিক্ত মিটিং দেখিয়ে টাকা খরচসহ বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে আপত্তি তোলে। এসব অভিযোগে ইউজিসি টিম রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করে সতর্ক করেন। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

বনবিভাগে কর্মরত থাকাকালে মীর্জা ফারুক ইমাম দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে চাকরি ছেড়ে দেন। প্রভাব ও অনৈতিক লেনদেন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নেন। এসব বিষয় তৎকালীন বন বিভাগে কর্মরত এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সিভাসুতে মীর্জা ফারুক একটি সিন্ডিকেটের সদস্য হয়ে প্রভাব বিস্তার করে নানা অনিয়মে জড়িত হয়েছেন- যেটি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ওপেন-সিক্রেট। মীর্জা ফারুককে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বক্তব্য প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

জেডএস