জাতীয় চিড়িয়াখানা

ঈদ মানে আনন্দ। আর আনন্দের জন্য পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হন অনেকে। এজন্য বিনোদনকেন্দ্রগুলো থাকত পছন্দের শীর্ষে। আজ শুরু হচ্ছে ঈদের আনন্দ। তবে এবার আনন্দে যেন লাগাম টেনেছে করোনাভাইরাস। বন্ধ রয়েছে বিনোদনকেন্দ্রগুলো। এ কারণে চাইলেও ঘুরতে যাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিনোদনকেন্দ্রগুলো থাকবে জনশূন্য, দেখা যাবে না লোকে লোকারণ্য সেই চিরচেনা দৃশ্য।

করোনা মহামারির ছোবলে বিশ্ব নাকাল। বাংলাদেশও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ভাইরাসটির বিস্তার রোধে কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এবার ঈদের ছুটিতে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমবে না সাধারণ মানুষের, ঘরে বসেই ছুটির দিন কাটাতে হবে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর সবকটি বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। আপাতত সেগুলো বন্ধই থাকবে। জাতীয় জাদুঘর, মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা, শ্যামলীর ডিএনসিসি ওয়ান্ডার ল্যান্ড, ওসমানী উদ্যান, রমনা পার্ক, জোড়পুকুর মাঠ, বাসাবোর শহীদ আলাউদ্দিন পার্ক, পুরান ঢাকার লালবাগে অবস্থিত রসুলবাগ পার্কসহ সিটি করপোরেশনের অন্যান্য মাঠ ও পার্ক সবই এখন বন্ধ রয়েছে।

প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্রের সামনের মূল ফটকে ঝুলছে তালা। দর্শনার্থীরাও যাচ্ছেন না কোথাও। শিশুদের জন্যে বিনোদনকেন্দ্রগুলো সবচেয়ে আনন্দের উপলক্ষে হলেও এবার যাওয়া হবে না কোথাও। পরিবারের সঙ্গেই ঘরবন্দি থাকতে হবে তাদের।

করোনাভাইরাসের নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে গত ২ এপ্রিল থেকে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এরপর আর খুলে দেওয়া হয়নি রাজধানীর বিনোদনের প্রাণ কেন্দ্র জাতীয় চিড়িয়াখানা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন জানান, করোনা মহামারি কারণে গত মাস থেকেই চিড়িয়াখানাগুলো বন্ধ আছে। খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। হয়ত করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসলে সরকারি পর্যায় থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সবমিলিয়ে এবার বিনোদনকেন্দ্রগুলো থাকবে জনশূন্য হয়ে। ঈদ উৎসব উপলক্ষে ঈদের দিন বা পরের দিন বেড়ানোর পছন্দের জায়গার মধ্যে চিড়িয়াখানায় যাওয়া খুব পছন্দ শিউলি আক্তারের।

তিনি জানান, আসলে ঈদ উপলক্ষে কোথাও যেতে পারলে সবার মধ্যেই ভালো লাগা কাজ করে। সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করা যায়। বাচ্চারা তাদের ইচ্ছে মতো আনন্দ করতে পারে। সবার মাঝে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। কিন্তু এবার আর তা হচ্ছে না। সবাই ঘরে থেকেই ঈদ উদযাপন করব।

একে/এসএসএইচ