আশুলিয়া ও শাহআলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি চাকু, ২টি চাপাতি, ৪১০ পিস ইয়াবা এবং নগদ ৩৬৫০ টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রোববার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১২টা থেকে সোমবার (১৭ মে) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন ডেন্ডাবর পল্লীবিদ্যুৎ এবং রাজধানীর শাহ্ আলী থানাধীন দিয়াবাড়ি এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।

সোমবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (অপস) সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং জঙ্গিবাদের মত ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূল ও রহস্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করার জন্য র‌্যাবের তৎপরতা অব্যাহত আছে। বর্তমানে রাজধানীতে বহুল আলোচিত বিপথগামী কিশোর গ্যাং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ মাদক সেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এ ধরনের বিপথগামী কিশোর অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিতায় সুস্পষ্ট অভিযোগ ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ১৮ কিশোর অপরাধীকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কিশোর অপরাধীরা মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিং এবং নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। এছাড়াও ওই এলাকায় কোনো অপরিচিত লোক গেলে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিত। ছিনতাইয় কাজে ব্যবহারের জন্য তারা সবসময় নিজেদের কাছে দেশীয় অস্ত্র রাখে। ছিনতাইকে কেন্দ্র করে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশে প্রায়ই এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জেইউ/এসকেডি