ড. এ কে আব্দুল মোমেন

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য থেকে জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাজ্য টিকা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে।

শুক্রবার (২১ মে) ব্রিটিশ টেলিভিশন আইটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সেরাম টিকা রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের অন্তত ১৫ লাখ মানুষের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে। এই অনিশ্চয়তা কাটাতে ব্রিটিশ সরকার থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ টিকা চেয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার বলছে, তাদের সেই সক্ষমতা নেই।’

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা আনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাসে এসব টিকা আসার কথা ছিল। 

কিন্তু দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত মার্চে টিকা রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত সরকার। এতে বাংলাদেশ টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে। ইতোমধ্যে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। তাদের খুবই খারাপ অবস্থা। তারা আমাদের কথা দিয়েছে টিকা দেবে। তবে কবে দেবে এটা বলেনি। আমাদের জনগণ যারা ভারতের অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার দরকার। যুক্তরাজ্যের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আছে। আমরা মনে করি, যুক্তরাজ্য চাইলেই আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা দিতে পারে। কারণ তাদের সেই সক্ষমতা আছে। আমি মনে করি, যুক্তরাজ্য সরকারকে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া উচিত। যুক্তরাজ্যের উচিত কমনওয়েলথ সমস্যাগুলোকে সহযোগিতা করা।’

যুক্তরাজ্যকে ভালো বন্ধু অ্যাখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। অনেক বাংলাদেশি নাগরিক যুক্তরাজ্যে অবদান রাখছেন। সুতরাং যুক্তরাজ্যকে এগিয়ে আসা উচিত।’

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, আমরা যুক্তরাজ্যের কাছে টিকার জন্য বলেছি। অনেকদিন বসিয়ে রাখার পরে যুক্তরাজ্যের লর্ড আহমেদ আমাদের জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের কাছ থেকে সংগ্রহ করুন।

এনআই/ওএফ