এশীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, এশীয় অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।
আজ (মঙ্গলবার) আজারবাইজানের বাকুতে ভার্চুয়ালি কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) ৭ম মন্ত্রিপরিষদের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য অর্থপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা এবং এশীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সম্মিলিত নিরাপত্তা বজায় রাখতে সংহতির ভিত্তিতে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক, পরিবেশ এবং মানবীয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরির বিষয়ে সিআইসিএ-কে একটি কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভবিষ্যতে এ ফোরামের মাধ্যমে নতুন নতুন অংশীদারিত্ব তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে কো-চেয়ারের ভূমিকায় বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে সিআইসিএ-তে বিশেষ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এবারের মন্ত্রিপর্যায়ের সভায় সিআইসিএ-এর বর্তমান সভাপতি কাজাখস্তান পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করে।
উল্লেখ্য, এশিয়া অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে বহুজাতীয় ফোরাম সিআইসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৮। বাংলাদেশ ২০১৪ সালে সিআইসিএ-এর সদস্যপদ লাভ করে।
এনআই/এনএফ