বিধিনিষেধ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য সোমবার (২৪ মে) থেকে সারাদেশে ১৪ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলবে। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সব টিকিট অনলাইনে দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে বেসরকারিভাবে চলা সাতটি কমিউটার ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 

যেসব লোকাল/কমিউটার ট্রেন চলবে সেগুলো হলো- ৩/৪ নং কর্ণফুলী কমিউটার, ২৯/৩০ নং সাগরিকা, ৪৯/৫০ নং বলাকা কমিউটার, ৫১/৫২ নং জামালপুর কমিউটার, ৯৯ নং ঢাকা কমিউটার, ৫ নং রাজশাহী এক্সপ্রেস ও ৬ নং রাজশাহী এক্সপ্রেস চাঁপাই-সিরাজগঞ্জ।

রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন রোববার (২৩ মে) রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সব নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সোমবার থেকে আমরা রেল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ১০৮টি আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জোড়া তথা ২৮টি ট্রেন চালাব। টিকিট অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সংক্রমণের কারণে কাউন্টারে কোনো টিকিট রাখা হয়নি। এছাড়া ১৮টি কমিউটার ট্রেন চালানো হবে।

রেলওয়ে থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে। আসনবিহীন কোনো টিকিট থাকবে না। তাই অযথা কাউন্টারে ভিড় করা থেকে বিরত থাকুন। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রেলভ্রমণ করবেন না। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীতে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট বিনে ময়লা ফেলুন। ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গত বছরের ২৪ মার্চ সরকার অফিস-আদালত বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর ২৬ মার্চ থেকে সড়ক ও রেল যোগাযোগও বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। করোনা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ৩১ মে আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরে ৩ জুন আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। এরপর ধাপে ধাপে সব ধরনের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। পরে গত ৩ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

এনএম/ওএফ