বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক

মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্জ্য বর্ষিজোড়া ইকোপার্কে ফেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। একই সঙ্গে মৌলভীবাজারসহ দেশের সব এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সমন্বিত, বিজ্ঞানভিত্তিক ও অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৩ মে) মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্ষিজোড়া ইকোপার্কের বর্জ্য নিক্ষেপের স্থান পরিদর্শন করে বাপার একটি প্রতিনিধিদল। পরিদর্শন শেষে তারা এসব দাবি জানান। বাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাপা মৌলভীবাজার আঞ্চলিক শাখার সমন্বয়ক এ এস এম সালেহ সোহেল, বাপা হবিগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল ও বাপা সিলেট আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষ তারা বলেন, বাংলাদেশের সব নগর ও পৌর এলাকার নাগরিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপরিকল্পিত ও ক্রটিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় সব এলাকার স্থানীয় পরিবেশ, প্রতিবেশ আজ চরমভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন। বেশিরভাগ পৌর এলাকার বর্জ্য সংশ্লিষ্ট এলাকা সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ নদী, খাল, জলাশয় কিংবা বনাঞ্চলে স্তূপাকারে রাখা হয়। সময়ে সময়ে তা আগুন দিয়ে জ্বালানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। 

পরিদর্শনকালে বাপার প্রতিনিধিদল দেখতে পায়, মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক নামের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। স্তূপ করা আবর্জনার অধিকাংশই প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য, যার একাংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

তারা আরও বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ালে চরম ক্ষতিকর বায়ুদূষণের সৃষ্টি হয়; যা মৌলভীবাজার পৌরসভার জনগণ ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বন্য প্রাণিদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পৌর বর্জ্য নিক্ষেপ শুধু আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা বা জীববৈচিত্র্যের প্রতি হুমকিই নয় বরং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার ও গৃহীত পদক্ষেপের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই অবিলম্বে মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্জ্য বর্ষিজোড়া ইকোপার্কে ফেলা বন্ধ করতে হবে এবং একই সঙ্গে দেশের সব নাগরিক বর্জ্য সমন্বিত, বিজ্ঞানভিত্তিক ও অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

এমএইচএন/এইচকে