অধ্যাপক জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (২৪ মে) এক শোক বার্তায় ড. মোমেন বলেন, জিল্লুর রহমান খানের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে লেখালেখির মাধ্যমে এবং বহুবিধ প্রফেশনাল সম্মেলনে। যদিও অনেক সময় আমাদের বিশ্লেষণে ভিন্নতা থাকতো, তবে তিনি সব সময় ছিলেন গুণগ্রাহী ও অমায়িক। জিল্লুর রহমান ছিলেন সত্যিকারভাবেই একজন স্বার্থক শিক্ষাবিধ। তিনি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিল্লুর রহমান খানের মৃত্যুতে আমরা একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে হারালাম।
মোমেন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক জিল্লুর রহমান খান শনিবার (২২ মে) বিকেলে ফ্লোরিডার ওরল্যান্ডোতে একটি নার্সিং হোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
তিনি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ইউএস-এর সভাপতি ছিলেন ১৯৮২ সাল থেকে ৩৯ বছর। তিনি সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের একজন উপদেষ্টা ছিলেন।
খ্যাতনামা এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর চিন্তার প্রতিফলন হিসেবে প্রকাশিত গ্রন্থের অন্যতম হচ্ছে: ‘লিডারশিপ ইন দ্য লিস্ট ডেভেলপমেন্ট ন্যাশন : বাংলাদেশ’ (১৯৮৩), ‘মার্শাল ল’ টু মার্শাল ল’ : লিডারশিপ ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ’ (১৯৮৪), ‘দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড কারিশমা : শেখ মুজিব এ্যান্ড দ্য স্ট্রাগল ফর ফ্রিডম’ (১৯৯৬) ইত্যাদি। ২০১৪ সাল থেকে তিনি বাংলাতেও লেখালেখি শুরু করেছিলেন। ঢাকার মওলা ব্রাদার্স প্রকাশিত তার গ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সম্মোহনী নেতৃত্ব ও স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবনের ধারাবিবরণী হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে।
জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে দেশে-বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টজনেরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এনআই/এসএম