কষ্টে চলা মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়ল
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোন দল কী ভাবছে
জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এ বক্তব্যের পর জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছে কি না, এ আলোচনা সামনে এসেছে। কারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার স্থানীয় নির্বাচন করতে চাইলে তা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই করতে হবে। সংসদ নির্বাচন করার পর তারা আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার সুযোগ পাবে না। তাদের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মতপার্থক্য আছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন দল জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিপক্ষে। আর জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত। কোনো কোনো দল অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছে।
মানবজমিন
এখন আমনের ভরা মৌসুম। নতুন ধানের চাল পুরোদমে বাজারে। শুল্ক কমে সর্বনিম্ন্ন। আমদানিও হচ্ছে চাল। বাজারে সরবরাহও পর্যাপ্ত। বাজার তদারকি চলছে। তবে দাম কমেনি বরং বেড়েছে। চলছে বাজারে অস্থিরতা। এক মাসের হিসাবে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা। মূলত অসাধু ব্যবসায়ী চক্র আর মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্রমতে, বাজারে চালের ঘাটতি নেই। সরকারের চালের মজুত ও স্থানীয় উৎপাদন ও সংগ্রহে ঘাটতি নেই। আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এরপরও চালের দাম বেড়ে যাওয়া অযৌক্তিক।
প্রথম আলো
খাদ্যাভ্যাসে বদল, গম আমদানিতে রেকর্ড
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে দেশে গমের তৈরি খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি গমের আমদানিও বাড়ছে। সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে বিশ্ববাজারে গমের দাম নিম্নমুখী থাকায় আমদানিকারকেরা রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি করেছেন। যদিও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আমদানি কিছুটা কমে গিয়েছিল। সেই খরা কাটিয়ে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের হিসাবে, ২০২৪ সালে প্রায় ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টন গম আমদানি হয়েছে। ২০২৩ সালে আমদানি হয়েছিল ৫৪ লাখ ১৭ হাজার টন। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে গম আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। আমদানি বৃদ্ধির এই হার গত আট বছরে সর্বোচ্চ।
কালের কণ্ঠ
দেশের অর্থনীতিতে সুখবর নেই। ক্ষমতার পালাবদলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে; ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আস্থাহীনতা। ডলার সংকট, দফায় দফায় করকাঠামোর পরিবর্তন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকট, উচ্চ সুদের হারসহ আরো নানা সমস্যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। অন্তর্বর্তী সরকার সংকট সামাল দিতে চেষ্টা করছে, কিন্তু এতে এখনো তেমন সুফল দেখা যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা
ভোটের দাবিতে শিগগির মাঠে নামছে বিএনপি
সাংবিধানিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ চান জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কিছুটা এগিয়ে নিয়ে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী বছরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, এমন একটি ধারণা সম্প্রতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্যে কোনটি কখন হতে হবে, কীভাবে হবে, সে বিষয়ে সরকার, বিএনপিসহ বড় দলগুলো এবং অভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
প্রথম আলো
ভুল সিদ্ধান্তে নিঝুম দ্বীপে হরিণের বংশনাশ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপে ষাটের দশকের প্রথম দিকেই যে কৃত্রিম ‘সুন্দরবন’ সৃষ্টির উদ্যোগ শুরু হয়, দেশ স্বাধীনের পরও তা অব্যাহত থাকে। ধীরে ধীরে সেখানে শ্বাসমূলীয় (ম্যানগ্রোভ) গাছের চারাগুলো মাথা তুলে দাঁড়ায়। সঙ্গে হরিণের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ১৯৭৪ থেকে ’৭৯ সালের মধ্যে বন বিভাগ নিঝুম দ্বীপে ১৪টি হরিণ অবমুক্ত করে। ১৯৯৬ সালের শুমারিতে দেখা যায়, দ্বীপটিতে হরিণের সংখ্যা বেড়ে ২২ হাজার হয়েছে। এখন সেখানে হরিণের সংখ্যা দুই হাজারও হয় কি না সন্দেহ।
আরও পড়ুন
যুগান্তর
অপ্রয়োজনে আট স্থলবন্দর, গচ্চা সাড়ে চারশ কোটি টাকা
মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি স্থলবন্দর। ওই তিনটি বন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৬০.৪ একর জমি। সেখানে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে অন্তত ১৪৩ কোটি টাকা। অথচ এই তিনটি স্থলবন্দর চলছে ঢিমেতালে। পণ্য না থাকায় কখনো কখানো বন্দর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। যদিও এসব বন্দরে রাজস্ব বিভাগ, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত অবস্থান করতে হয়। এ পর্যন্ত এই তিন স্থলবন্দর থেকে ২০ কোটি টাকাও আয় হয়নি কর্তৃপক্ষের। ওই তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণের নেপথ্যে ছিলেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের তিনজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং এক মুখ্য সচিব।
বণিক বার্তা
আগস্টের পর স্বাভাবিক ছিল চিনি ছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি
দেশে গত বছর সামান্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে ভোজ্যতেলের আমদানি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, সদ্য বিদায় নেয়া ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের সম্মিলিত আমদানি কমেছে ১ শতাংশের কিছু বেশি। একই সময়ে চিনির আমদানি কমেছে ৩২ শতাংশের কাছাকাছি। ২০২৪ সালে দেশে অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যগুলোর মধ্যে ভোজ্যতেল ও চিনির আমদানি কমলেও বেড়েছে শুধু গমের। গত বছর দেশে খাদ্যশস্যটির আমদানি বেড়েছে ৩৪ শতাংশেরও বেশি।
সমকাল
কষ্টে চলা মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়ল
নানা কারণে গেল বছর নিত্যপণ্যের বাজার ছিল রীতিমতো ‘পাগলা ঘোড়া’। দামের চোটে বছরজুড়ে গড় মূল্যস্ফীতি থেকেছে দুই অঙ্কের ঘরে। খরচা ছুটলেও মানুষের রোজগার বাড়েনি তেমন। উল্টো চাকরি খুইয়ে ধুঁকছেন অনেকে। এর মধ্যেই দুঃসংবাদ হয়ে হাজির শতাধিক পণ্য ও সেবায় নতুন শুল্ক-কর। এতে নাটাই যেভাবে ছুটবে, তাতে জীবনযাত্রা খরচার সামাল দেওয়া অনেকটাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে নির্ধারিত আয়ের মানুষের। গেল আগস্টে দেশের রাজনৈতিকে মঞ্চ বদলের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, তাও ফিকে হয়ে আসছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক-করের পরিমাণ না বাড়িয়ে এর আওতা বাড়ানো উচিত। বিভিন্ন খাতে অনেক ব্যবসায়ী আছেন, যারা ভ্যাট দিচ্ছেন না। কর হার কমিয়ে এসব ব্যবসায়ীকে ভ্যাটের আওতায় আনা গেলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। তবে সরকার সে পথে না হেঁটে যারা নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছেন, তাদের ওপরেই আরও বোঝা চাপাল। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যে। বাড়বে কর ফাঁকির প্রবণতাও। তারা মনে করেন, সরকারের উচিত, প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি বা কমানো, ভ্যাট ব্যবস্থা সহজ করা। পাশাপাশি ভ্যাট কমিয়ে করের আওতা বাড়ানো।
কালের কণ্ঠ
আমলারাই বাছাই করবেন ডিলার ও উপকারভোগী
সম্প্রতি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির (ওএমএস) নতুন নীতিমালা জারি করেছে সরকার। এই দুই নীতিমালায় ডিলার নিয়োগ ও উপকারভোগী/সুবিধাভোগীদের বাছাইয়ে জেলা ও উপজেলা কমিটিতে জনপ্রতিনিধিদের (সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র) প্রতিনিধি রাখা হয়নি। আগের নীতিমালায় এসব কমিটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মনোনীত প্রতিনিধি রাখার বিধান ছিল। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী এই দুই কর্মসূচিতে ডিলার ও ভোক্তা বাছাই করবেন জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
প্রথম আলো
৩৫ কোটি টাকার রাজশাহী শিশু হাসপাতাল পড়ে আছে
রাজশাহী শিশু হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল আট বছর আগে। শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। ২০০ শয্যার হাসপাতালটি এখনো বুঝে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদার নিজেদের লোক দিয়ে প্রায় চার বছর ধরে হাসপাতালটি পাহারা দিচ্ছেন। বারবার চিঠি দিলেও কর্তৃপক্ষ হাসপাতালটি বুঝে নিচ্ছে না।
দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় হাসপাতালের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল বুঝে না নেওয়ায় সেবা কার্যক্রমও শুরু করা যাচ্ছে না। রাজশাহীর সিভিল সার্জন বলছেন, তাঁরা হাসপাতাল বুঝে নেওয়ার জন্য কয়েক দফা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। সেখান থেকে সাড়া না পাওয়ায় হাসপাতাল হস্তান্তরে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
যুগান্তর
অল্প বরাদ্দের প্রভাব রোগীর খাবারে
ক্যানসার ও কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় রাজধানীর মহাখালী ও শেরেবাংলা নগরে দুটি বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে সরকারের। তবে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রোগীদের খাবারের জন্য চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ খুবই অপ্রতুল বলছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে রোগীদের ক্যালরি মেপে, বয়স, ওজন ও রোগের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি আইসিইউ এবং এইচডিইউ ইউনিটেও দেওয়া হচ্ছে সাধারণ রোগীদের মতো খাবার। দুটি হাসপাতালের কোনোটিতেই নেই পুষ্টিবিদ। নামমাত্র ডায়েটিশিয়ান থাকলেও এ ব্যাপারে নজরদারির ঘাটতি আছে। এমনকি বাণিজ্য শিক্ষায় স্নাতক পাশ করে ক্যানসার হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান এবং কিডনি হাসপাতালের সহকারী ডায়েটিশিয়ান সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করে দায়িত্ব পালন করছেন।
বণিক বার্তা
লুক্কায়িত খরচে হাত দিচ্ছে না সরকার, উল্টো জনপরিষেবায় দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা
আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে ১৬ বার। পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও খুচরায় ১৪ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দামও। এতবার এসব জনপরিষেবার মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বিগত সরকারের দুর্নীতি-অনিয়ম, লুটপাট এবং লুক্কায়িত বা গোপন নানা ব্যয়কে (হিডেন চার্জ) দায়ী করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও এসব জনপরিষেবার দাম বাড়ানোর নানা উদ্যোগ, প্রস্তাব ও পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। এসব ব্যয়ের কারণ অনুসন্ধান ও তা কমানোর উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো জনপরিষেবাগুলোর মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া ঢাবি পোর্টালের তথ্য হ্যাকারদের হাতে; মিত্রদেরও পাশে চায় বিএনপি; আমীর খসরু / ‘মাইনাস টু’র আশা কখনো পূরণ হবে না; ফেসবুকে তামিম / আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ; শতবছরের ঐতিহ্য / এক গ্রামেই ৬ কোটির কুমড়োবড়ি বিক্রি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।