‘সাইফুজ্জামান চৌধুরী সাড়ে ৪শ কোটির হোটেল করেছে জনগণের টাকায়’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলের অপরপাশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিশ্রামের জন্য তৈরি সেভেন স্টার হোটেল জনগণের টাকায় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ওপারে গিয়ে রেস্ট নেবেন, তার জন্য সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে তিনি হোটেল করেন নিলেন। এটা কার টাকা? সাইফুজ্জামান চৌধুরীর তো আত্মীয়-স্বজনের টাকা না? এটা জনগণের ট্যাক্সের টাকা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আগে সব জায়গায় অপচয় করা হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, কর্ণফুলীতে একটি টানেল করলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ওপারে গিয়ে রেস্ট নেবেন তার জন্য সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে তিনি হোটেল করেন নিলেন। এটা কার টাকা?
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমরা চাইছি বাংলাদেশের ট্যাক্স জিডিপি এমন একটা হেলদি জায়গায় যাক, যাতে বাংলাদেশের ইকোনমিক গ্রোথ হয়। বাংলাদেশের নিড ডেভেলপমেন্টগুলো হয়ত আপনি করতে পারছেন না। সেই বিচার করেই এটা করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে এই টাকাগুলো ব্যয় হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাচার করা অর্থ কীভাবে বাংলাদেশে আনা যায় সেটা আমরা দেখছি। এটা আমাদের টপ প্রায়োরটি। চুরি আনলিমিটেড হয়েছে। এই চুরির টাকা কোথায় কোথায় রয়েছে সেটা চিহ্নিত করা...। আপনি আজকেও দেখেছেন যে, ৬০ কাঠার জমি নিয়েছে সেটার উপরে একটা মামলা হয়েছে। আমরা দেখছি কোথায় কোথায় কীভাবে টাকাগুলো গেছে। কোন অ্যাকাউন্টে গেছে। সেই জিনিসটার জন্য যা যা করা লাগে, আমরা সেই কাজটা করছি। যে দেশে টাকাটা চলে গেছে সেই দেশের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি।
প্রেসসচিব বলেন, আমাদের ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি খুব দরকার। যদি না থাকে, আপনি নিজেই দেখবেন যে টাকার মান কমে যাচ্ছে। ১২৫ টাকায় এক ডলার কিনছেন, একটা সময় আসবে যে ১৯০ টাকা দিয়ে ডলার কিনতে হবে। আমাদের ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স অনুপাত বাড়াতে হবে। পাঁচ মাসে রেভিনিউ শর্ট হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। খরচটা তো মেটাতে হবে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সহকারী প্রেস সচিব আশরোফা ইমদাদ, সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
এমএসআই/জেডএস