গৃহ শ্রমিকদের শ্রম আইনের আওতায় আনতে ১১ দফা সুপারিশ
শ্রম সংস্কার কমিশনের সঙ্গে জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় ইউনিয়ন গৃহ শ্রমিকদের শ্রম আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শ্রম সংস্কার কমিশনের কাছে ১১ দফা সুপারিশমালা জমা দেওয়া হয়।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রস্তাবিত ১১ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে– বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করে গৃহ শ্রমিকদের স্বীকৃতি প্রদান, গৃহ শ্রমিকদের সংগঠিত হয়ে অধিকার আদায়ে আইনগত সহায়তা, পৃথক নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন, গৃহ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা-পেনশন সুবিধা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম কমিশনের সাকিল আখতার চৌধুরী, রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় গার্হস্থ নারী শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি আবুল হোসাইন, মুর্শিদা আখতার, শাহানুর বেগম, মাহানুর বেগম প্রমুখ।
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার বলেন, গৃহ শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষার জন্য শ্রম আইন সংশোধন করে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ২০১৫ সালে প্রণীত ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা কল্যাণ নীতি’ এখনো বাস্তবায়িত হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
শ্রম কমিশনের রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, কমিশনের কিছু করে দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও লিখে দেওয়ার ক্ষমতা আছে।
কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, গৃহ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র নেই, তাদের জন্য অন্তত মাতৃত্বকালীন ছুটির একটা নীতি করা অত্যন্ত জরুরি। সমস্যাগুলো যেহেতু আমরা জানি, তাই সবার মনে রাখতে হবে কোনো কাজই একদিনে সম্ভব হয় না। আমরা বিশ্বাস করি আমরা পারব। আজকের এ কমিশন সকলেরই সংগ্রামের অংশ। আমরা সবাই মিলে যদি উদ্যোগী হই, অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকি, অবশ্যই আমাদের সুপারিশ অর্জন করা সম্ভব।
এএসএস/এসএসএইচ