এনসিটিবির সামনে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও সারাদেশ জুড়ে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ এবং উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘এনসিটিবি কর্তৃক আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিল, ঢাকায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ভূমিকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে আদিবাসীদের ওপর চলমান জবর দখল ও নির্যাতনের প্রতিবাদে’ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত জুলাই অভ্যুত্থানের চিত্রকর্ম বা গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে দেশের যে কোনো নাগরিকের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার ন্যায়সংগত গণতান্ত্রিক অধিকার এবং তা বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের চেতনা সংরক্ষণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের স্বার্থ সংরক্ষণের দাবিতে গড়ে ওঠা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর হামলা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক এবং তা বিক্ষোভকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ যা দেশের ভাবমূর্তিকে নিঃসন্দেহে ক্ষুণ্ন করবে।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গোটা দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা আজও চলমান রয়েছে। এ সময় বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় আহতদের সুচিকিৎসা এবং সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি গণ-অভ্যুত্থানের ‘আদিবাসী’ সম্বলিত গ্রাফিতি বা চিত্রকর্ম আগের মতই নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে পুনঃসংযোজন করার ওপর জোর দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ড. ইউনূস বলেছিলেন আমরা সবাই একটি পরিবার। আজকে কোথায় গেল সেই কথা। যখন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়, তখন কোথায় যায় সরকারের সেই কথা। আমরা দেখেছি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া রুবাইয়া চঞ্চলা চাকমা হামলায় আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি অমানবিক। মিথ্যা মামলাতে সংখ্যালঘুদের দমিয়ে রাখা যাবে না।
ওএফএ/এমএন