নির্মাণ শ্রমিকদের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে
দেশের নির্মাণ শ্রমিকদের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, ইনসাব কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, অর্থ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, শ্রম ও দরকষাকষি সম্পাদক জালাল আহমেদ, মহিলা সম্পাদিকা সায়েরা খাতুন, দপ্তর সম্পাদক মো. আজিজুর রহমান আজিজ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাত হলো নির্মাণ খাত। এই খাতে দেশে প্রায় ৩৫ লাখের বেশি নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছে। প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও রয়েছে আমাদের দেশের সমপরিমাণ নির্মাণ শ্রমিক। নির্মাণ শ্রমিকরা আধুনিক নগর সভ্যতা বিনির্মাণের মূল কারিগর। দেশের দালান কোঠা, ব্রিজ কালভার্টসহ নান্দনিক সৌন্দর্য ও অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। কিন্তু যাদের শ্রমে ঘামে জাতীয় অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে, দেশ মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর হতে চলছে সেই নির্মাণ শ্রমিকরা এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছে। রাষ্ট্রের কাছে তাদের কাজের তেমন কোনো স্বীকৃতি নেই। নেই তাদের সামাজিক সুরক্ষা। এই সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত অনেক শ্রমিক আহত বা নিহত হন।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, অনেকেই দুর্ঘটনায় সারাজীবনের জন্য কর্মক্ষম ও পঙ্গুত্ববরণ করেন। যে শ্রমিকরা দেশ গড়ার কারিগর এবং যাদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের মধ্যে নির্মাণ শ্রমিকদেরও অবদান রয়েছে। স্বাধীনতার ৫ দশক পেরিয়ে তাদের মজুরি, বাসস্থান, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আজও আন্দোলন করতে হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।
সমাবেশে কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত এবং পঙ্গুত্ববরণকারী শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী এক জীবনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ শ্রম আইন অন্তর্ভুক্ত ও শ্রমিকদের দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
ওএফএ/জেডএস